জেনে নিন, এলাচ খাওয়ার উপকারিতা

ছোট এলাচের রয়েছে বিস্ময়কর জাদুকরী গুণাগুণ। এলাচ চিবানো শুধুমাত্র পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করে না, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক রোগ ক্যান্সারের সাথে লড়াই করতে পারে। এলাচ একটি হালকা মিষ্টি এবং পুদিনা মত স্বাদ আছে. তাই এলাচ মুখের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে, যা নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে না এবং দাঁতের ব্যাকটেরিয়াও মেরে ফেলে।

এলাচের মধ্যে অনেক ধরনের ঔষধি গুণ পাওয়া যায়। অবশ্য সবজির স্বাদ বাড়াতে এলাচ ব্যবহার করা যায়, তবে অনেক রোগ থেকে বাঁচতেও এলাচ ব্যবহার করা যায়। এলাচের মধ্যে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। এতে অনেক ধরনের ভিটামিন, মিনারেল, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন এবং ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়। এলাচের মধ্যে অনেক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও পাওয়া যায়।

এলাচের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। অর্থাৎ এটি প্রদাহ দূর করে। শরীরের কোষে প্রদাহ হলেই অনেক রোগ শুরু হয়। প্রদাহের পরে অনেক ধরণের সংক্রমণ ঘটে। এলাচ প্রদাহ দূর করে এবং যেকোনো ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। একইভাবে এলাচ হজমের যাবতীয় সমস্যা দূর করে। এলাচ খেলে পরিপাকতন্ত্র শক্তিশালী হয়, আয়ুর্বেদও একথা বলে আসছে বহু শতাব্দী ধরে। এলাচ শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বিকে জমতে দেয় না।

 এলাচের গুঁড়া ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। এলাচের মধ্যে উপস্থিত যৌগ ক্যান্সার কোষকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে। পাবমেড সেন্ট্রাল জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ক্যান্সারে আক্রান্ত ইঁদুরকে যখন এলাচের গুঁড়া খাওয়ানো হয়, তখন তারা ক্যান্সার প্রতিরোধকারী এনজাইম তৈরি করে যা ক্যান্সার কোষকে মেরে ফেলে। শুধু তাই নয়, এলাচ শরীরে প্রাকৃতিক ঘাতক তৈরি করতে শুরু করে যা ক্যান্সার টিউমারকে আক্রমণ করে। অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ত্বকের ক্যান্সারে আক্রান্ত ইঁদুর যাদেরকে 500 মিলিগ্রাম এলাচের গুঁড়ো দেওয়া হয়েছিল তাদের 12 সপ্তাহ পরে উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখা গেছে।

একই সময়ে, অন্য একটি গবেষণায়, রক্তচাপের জন্য চিকিৎসাধীন কিছু লোককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল এবং তাদের তিন গ্রাম এলাচ দেওয়া হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহ পর এসব মানুষের রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়ে আসে। গবেষণা বলছে, এলাচের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি রক্তচাপ কম রাখতে সহায়ক বলে প্রমাণিত হয়েছে।

প্র ভ