পেঁপে খেলে কি সত্যই গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ে, জেনে নিন

সব ফলের মধ্যে পেঁপে সবচেয়ে সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকরও বটে। পেঁপে প্রোটিন, ডায়েটারি ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ এবং এতে চর্বিও খুব কম থাকে। তাই আপনি যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে অবশ্যই পেঁপে খান।

তবে গর্ভাবস্থায় পেঁপে না খাওয়ার পরামর্শ অনেকদিন ধরেই দেওয়া হচ্ছে। গর্ভবতী মহিলাদের প্রায়ই পেঁপে সম্পর্কে সতর্ক করা হয়।

গর্ভাবস্থায় পেঁপে খাওয়া কি ঠিক নয়?

বাড়ির বড়রা প্রায়ই গর্ভাবস্থায় পেঁপে খাওয়াকে গর্ভপাতের সঙ্গে যুক্ত করেন। এটি ল্যাটেক্সে পাওয়া এনজাইমগুলির জন্য দায়ী - পেঁপে থেকে নিঃসৃত সাদা দুধের তরল। এই এনজাইমগুলি পোস্টরেগল্যান্ডিন নিঃসরণকে ট্রিগার করে, যা জরায়ু সংকোচনের কারণ হতে পারে, গর্ভপাতের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।

গর্ভবতী মহিলারা গর্ভাবস্থায় পেঁপে খাবেন কি না তা নিয়ে প্রায়ই চিন্তিত থাকেন।যাইহোক, এগুলো শুধুই গুজব। আগের দিনগুলিতে, মিশরীয়রা উটকে গর্ভধারণ এড়াতে এবং গর্ভপাত ঘটাতে সাহায্য করার জন্য পেঁপের বীজ ব্যবহার করত।সেই থেকে গর্ভাবস্থায় পেঁপে এড়িয়ে চলার কথা বলা হয়।

একই সময়ে, কিছু ডাক্তার বিশ্বাস করেন যে পেঁপে আসলে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর ফল। পেঁপে কাঁচা হোক বা পাকা, ঋতুচক্রের কোনো পরিবর্তন ঘটায় না। এটি একটি পৌরাণিক কাহিনী যে এটি পিরিয়ডের তারিখকে সামনে পিছনে সরিয়ে দিতে পারে।

তবে, অপরিষ্কার পেঁপে থেকে পাওয়া প্যাপাইন নামক একটি প্রোটিওলাইটিক এনজাইম জরায়ু সংকোচন এবং হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই আমরা গর্ভবতী মহিলাদেরকে কাঁচা পেঁপে পুরোপুরি না খাওয়ার পরামর্শ দিই।তবে পাকা পেঁপে গর্ভাবস্থায় উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।

কিছু ডাক্তার আরও বলেন যে, পেঁপেতে ক্যারোটিন রয়েছে, যা রক্তনালীর চাপ বাড়াতে পারে, যার ফলে প্লাসেন্টার ভিতরে রক্তপাত হতে পারে।প্রযুক্তিগতভাবে বলতে গেলে, পেঁপে একটি গর্ভপাতকারী ফল, তাই আমরা গর্ভাবস্থায় পেঁপে এড়িয়ে চলতে বলি। গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে গর্ভপাত ঘটতে পারে এবং বাকি মাসে রক্তপাত হতে পারে।

ফলাফলটি কি?

অন্যান্য ফলের মতো, পেঁপেও গর্ভবতী মহিলাদের জন্য স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়, তবে পেঁপে খাওয়ার আগে এটির সাথে সম্পর্কিত ঝুঁকি সম্পর্কে তথ্যের জন্য আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে ভুলবেন না।

প্র ভ