জেনে নিন এই খাবার গুলোর বিষয়ে যা পিরিয়ড নিয়ন্ত্রণ করে

 

অনেক নারীই অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যায় ভুগে থাকেন।  অনিয়মিত পিরিয়ডের ক্ষেত্রে অনেক সময় একজন মহিলার দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত পিরিয়ড হয় না।  কখনও কখনও পিরিয়ড মিস হলে ভারী বা খুব কম রক্তপাত হয়।  এর পাশাপাশি মাথা, পেট ও কোমর ব্যথা,বমি ও  বমি বমি ভাবের মতো শারীরিক সমস্যায় নারীরা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।

অনিয়মিত মাসিকের কারণ -

অসংযত জীবনধারা, মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, কম ঘুমানো, বেশি দুশ্চিন্তা করা ইত্যাদি কারণ পিরিয়ডের চক্রকে প্রভাবিত করে।  PCOD, স্থূলতা, ডিম্বাশয়ে সিস্ট, PCOS, হরমোনের ভারসাম্যহীনতার মতো কিছু শারীরিক সমস্যার কারণেও মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।  যদি এই সমস্যাগুলি আপনাকে বিরক্ত করে, তবে অবশ্যই একবার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।

যে খাবারগুলো অনিয়মিত পিরিয়ডকে নিয়মিত করে :

কিছু খাবারে এমন উপাদান থাকে, যা অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যা দূর করতে সহায়ক।  আমরা আপনাকে এমন কিছু খাবারের কথা বলছি, যেগুলো নিয়মিত খেলে আপনি পিরিয়ড সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

জিরাও উপকারী -

জিরাতে উপস্থিত কিছু কার্যকরী পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা জরায়ুর পেশী সংকুচিত করতে এবং পিরিয়ডের চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।  কয়েকদিন নিয়মিত জিরার জল পান করুন।  এ জন্য রাতে এক কাপ জলে দুই চামচ জিরা রেখে দিন।  সকালে খালি পেটে এই জল পান করুন।

অনিয়মিত মাসিক হলে আনারস খান -

যদি পিরিয়ডের কোনো ধরনের সমস্যা থাকে বা যদি বেশি ব্যথা, ক্র্যাম্প থাকে, তাহলে অবশ্যই আনারস খান।  এই ফলটিতে রয়েছে ব্রোমেলেন নামক এনজাইম, যা জরায়ুর আস্তরণের সমস্যা সংশোধন করে পিরিয়ড নিয়মিত করতে সাহায্য করে।  এটি লাল এবং সাদা রক্তকণিকার উৎপাদন বাড়ায়।  এভাবে পিরিয়ডের সময় রক্ত ​​চলাচল ঠিক থাকে।

হলুদ অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা দূর করে -

হলুদ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি ভেষজ, যার মধ্যে অনেক ধরনের ঔষধি গুণ রয়েছে।  এটি শুধুমাত্র সংক্রমণ প্রতিরোধ করে না, অনিয়মিত পিরিয়ডের চিকিৎসাও করে।  অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা থাকলে রাতে ঘুমানোর আগে হলুদের সঙ্গে গরম দুধ পান করুন।  এটি পিরিয়ড ক্র্যাম্প নিরাময় করতে পারে।  হলুদে উপস্থিত কারকিউমিন ইস্ট্রোজেন হরমোনের মতো, যা অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়মিত করতে সাহায্য করতে পারে।

দারুচিনি দিয়ে আপনার পিরিয়ড সাইকেল ঠিক করুন -

দারুচিনির পরিপূরক শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।  ইনসুলিনের মাত্রা কম থাকার কারণেও পিরিয়ড সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেয়।  পিসিওএস থাকলে দারুচিনি খান। এতে ব্যথা কমে, অনিয়মিত পিরিয়ড স্বাভাবিক হয়।

মৌরি জল পান -

অনিয়মিত পিরিয়ডের চিকিৎসায় মৌরি খুবই কার্যকরী একটি ভেষজ।  এটি হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, ডিম্বস্ফোটন প্রচার করে।  এটি ঋতুস্রাবের কারণে সৃষ্ট ক্র্যাম্প, পেটের ব্যথা থেকেও মুক্তি দেয়।  এক গ্লাস জলে ১-২ চা চামচ মৌরি দিয়ে ফোটান। জল অর্ধেক হয়ে গেলে ছেঁকে নিন।  মৌরি দিয়ে জল পান করলে অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা দূর হয়।