গমের ঘাসের জুস ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, ডেঙ্গুতে রক্তের প্লেটলেট বাড়ায়

প্রকৃতি বিভিন্ন ধরণের উপকারী জিনিস সরবরাহ করে, যা আপনাকে ফিট এবং সুস্থ থাকতে সাহায্য করতে পারে। গমের ঘাস, তাজা গমের পাতা থেকে তৈরি, এমনই একটি জিনিস। গমের ঘাস ভিটামিন, প্রোটিন, খনিজ পদার্থ, ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যে পরিপূর্ণ। এছাড়াও এতে রয়েছে ক্লোরোফিল, ফ্ল্যাভোনয়েডস, ভিটামিন-সি এবং ভিটামিন-ই। প্রতিদিন গমের ঘাসের রস পান করা আপনার শরীরের অনেক প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থের চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে। ক্রমবর্ধমান ওজন এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্যও গমের ঘাস উপকারী।

গমের ঘাস ক্যান্সার, চর্মরোগ, কিডনি এবং পেট সংক্রান্ত রোগ নিরাময়েও সাহায্য করতে পারে। তাৎক্ষণিক শক্তির জন্য আপনি গমের ঘাসের রসও পান করতে পারেন। গমের ঘাস প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়াতেও সাহায্য করে, যা ডেঙ্গুতে পড়ে। চলুন জেনে নেওয়া যাক গমঘাসের উপকারিতা।

১) রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে - গমের ঘাসের রস খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত গমঘাস খাওয়ার মাধ্যমে ব্যাপক স্বাস্থ্য সুবিধা পেতে পারেন। রক্তে শর্করার বৃদ্ধি বড় স্বাস্থ্য সমস্যাগুলিকে ট্রিগার করতে পারে।

২) কোলেস্টেরল কমায় - গমের ঘাসের রস পান করা কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

৩) ডেঙ্গুতে প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়ায় - গমঘাস মৌসুমী রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়। ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গুর মতো রোগে গমঘাস খাওয়া উপকারী, যা বিশেষ করে বর্ষাকালে সাধারণ। গমের ঘাস ডেঙ্গুতে রক্তের প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়াতেও সাহায্য করে।

৪) স্থূলতা কমায়- গমের ঘাসের রস পান করা স্থূলতার সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে। গমের ঘাস ফাইবার সমৃদ্ধ এবং খুব কম ক্যালোরি। এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরা রাখতে পারে, যার ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার জন্য ক্ষুধা কমে যায়। নিয়মিত গমের ঘাসের রস পান করা স্থূলতা প্রতিরোধে সাহায্য করে।

৫) শরীরের ডিটক্সিফিকেশন গমের ঘাসে এমন পুষ্টি রয়েছে যা শরীরের ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। এতে পাওয়া ক্লোরোফিল শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। এগুলি ছাড়াও, এটি স্বাস্থ্যকর লিভার ফাংশনকে উত্সাহিত করে, যা হজমের উন্নতি করে। এই ধরনের বডি ডিটক্স শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।