এই খাবার খেলে উচ্চ রক্তচাপ হবে এবার নিয়ন্ত্রণে
উচ্চ রক্তচাপ হল দুর্বল জীবনধারা, মানসিক চাপ এবং ভুলভাল খাওয়ার কারণে সৃষ্ট একটি রোগ। নীরব ঘাতক হিসাবে পরিচিত, এই রোগের সমস্যা দেখা দেয় যখন রক্তের ধমনীর দেয়ালে খুব বেশি চাপ পড়ে, যা স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ শুধু হৃদরোগই নয়, আরও অনেক গুরুতর রোগের কারণ হতে পারে।
শুধুমাত্র ওষুধ দিয়েই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, তবে আপনার খাদ্যাভ্যাস এতে খুবই কার্যকরী। উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা যদি সকালের নাস্তায় কিছু খাবার খান, তাহলে সারাদিন তাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
সকালের জলখাবার হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার যা আপনাকে সারাদিন এনার্জি রাখে, তাই সকালের জলখাবারে এমন খাবার খান যা শরীরে শক্তি জোগায়, সেই সঙ্গে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
বাদাম, বীজ এবং কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য: পটাশিয়াম সমৃদ্ধ বাদাম এবং বীজ উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য সেরা। সকালের জলখাবারে কম চর্বিযুক্ত দুধ বা বাদাম ও বীজ খেতে পারেন। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কুমড়োর বীজ, স্কোয়াশ বীজ, পেস্তা, বাদাম, কাজু এবং আখরোট খান।
কলা খান:
কলা পটাশিয়ামের একটি সুপরিচিত উৎস। কলা খাওয়া হলে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। সোডিয়াম মুক্ত কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
ওটস খান:
উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা যদি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে চান, তাহলে সকালের জলখাবারে ওটস খান। ফাইবার সমৃদ্ধ ওটসে সোডিয়াম কম থাকে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। দুধের সঙ্গে ওটস খেতে পারেন।
দই খান:
উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য দই একটি দারুণ খাবার। সকালের জলখাবারে কম চর্বিযুক্ত দই খেলে আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। মনে রাখবেন দই যোগ করা চিনি এবং কৃত্রিম স্বাদ ধারণ করে না। দইকে আরও পুষ্টিকর করতে কিছু ফল যোগ করতে পারেন।
ডিম খান:
উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের সকালের নাস্তায় ডিম খাওয়া উচিৎ। ডিম প্রোটিনের একটি সমৃদ্ধ উৎস যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী। ডিমের সাদা অংশ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। ডিম সেদ্ধ করে বা ভেজে খেতে পারেন।
No comments: