আপনি কি জানেন ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে গাজর
ডায়েটিশিয়ানদের মতে আপনি দিনে ৬ থেকে ৮ টি গাজর খেতে পারেন। তবে মনে রাখবেন যে, একটানা গাজর খাওয়া উচিৎ নয়। সপ্তাহে ২ দিন অন্তর ৬ থেকে ৮ টি গাজর খান। আপনার শরীরে আয়রনের ঘাটতি থাকলে দিনে ২ থেকে ৩টি গাজর খাওয়া উচিৎ। তবে অতিরিক্ত গাজর খাবেন না। আসলে, প্রতিদিন প্রায় ১০ টি গাজর খেলে ক্যারোটেনমিয়া হতে পারে। এটি এমন একটি সমস্যা যা ত্বকে বিটা ক্যারোটিন জমা হওয়ার কারণে হয়।
বেশি গাজর খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া -
ঘুমের সমস্যা -
অতিরিক্ত গাজর খেলে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। আসলে, গাজরের হলুদ অংশ খুব গরম, যার কারণে আপনার পেটে অনেক জ্বালা হতে পারে। বিশেষ করে রাতে এই সমস্যা বেশি হয়। যার কারণে আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
গর্ভবতী মহিলা -
শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে গর্ভবতী মহিলাদের গাজর, ডালিমের মতো জিনিস খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু অতিরিক্ত নয়। এই অবস্থায় অতিরিক্ত গাজর খেলে , বমি হতে পারে।
প্রস্রাবের সমস্যা -
গাজরে জল বেশি থাকে। আপনি যদি প্রচুর পরিমাণে গাজর খান, তবে এর কারণে আপনার ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা হতে পারে।
এলার্জি -
কিছু লোক গাজরে অ্যালার্জির অভিযোগও করতে পারে। গাজরে অ্যালার্জি থাকলে গাজর খাবেন না।
ক্যারোটেনমিয়া -
গাজরে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন। এটি ক্যারোটিনয়েডের একটি রূপ, যা আমাদের শরীর ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত করে। এটি চোখের স্বাস্থ্য এবং ইমিউন সিস্টেমের জন্য বেশ ভাল বলে পরিচিত। কিন্তু আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে গাজর খান, তাহলে শরীরে ক্যারোটিনের আধিক্য হতে পারে। যার কারণে আপনি ক্যারোটেনমিয়ায় ভুগতে পারেন। যার কারণে আপনার ত্বকে হলুদ ভাব দেখা দিতে পারে।
পেট সংক্রান্ত সমস্যা -
গাজর ফাইবারের একটি ভালো উৎস, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু অতিরিক্ত ফাইবার খাওয়াও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। যার কারণে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য, অন্ত্রের সমস্যা এবং গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
গাজর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী হতে পারে। তবে এটি সঠিক পরিমাণে খেতে হবে । অতিরিক্ত পরিমাণে গাজর খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর হতে পারে। এছাড়াও, আপনি যদি কোনও গুরুতর সমস্যায় ভুগছেন, তবে গাজর খাওয়ার আগে অবশ্যই একবার ডাক্তার বা ডায়েটিশিয়ানের সাথে পরামর্শ করুন।
No comments: