Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

সায়াটিকের অসহ্য ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে এই কয়েকটি ব্যায়ম করুন

 সায়াটিক শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং দীর্ঘতম স্নায়ু। এই স্নায়ু মেরুদণ্ডে শুরু হয় এবং উভয় পায়ের নিচের শাখা হিসাবে নিতম্বের মধ্য দিয়ে চলে যায়।  


সায়াটিকার অসহ্য ব্যথা পিঠে, নিতম্বে এবং পায়ে হয় এবং কখনও কখনও তা এতটাই বেড়ে যায় যে শুয়ে, উঠতে, বসতে এমনকি হাঁটতেও কষ্ট হয়। 


সায়াটিক নার্ভ পায়ের নিয়ন্ত্রণ এবং কাজ করার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।  এ কারণে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও অসাড় হয়ে পড়ে।



এটি সাধারণত ৩০ বছরের কম বয়সী লোকেদের মধ্যে এটি হয় না, তবে এই ব্যথা সাধারণত ৩০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে লোকেদের মধ্যে দেখা যায়।


মেরুদন্ডের সাথে সম্পর্কিত কিছু সমস্যার কারণে এই অবস্থা হতে পারে।  এটি পিছনের স্নায়ুকে প্রভাবিত করে।  এটি একটি আঘাতের কারণে যেমন - মেরুদন্ডে আঘাত পাওয়া, পড়ে যাওয়া বা সায়াটিক স্নায়ুর টিউমার এইসবের কারনে হতে পারে। 


এই মারাত্মক কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসা করা আবশ্যক। তবে চিকিৎসার সঙ্গে সঙ্গে আপনি কয়েকটি ব্যায়ম করে এই ব্যথা থেকে অনেকটা মুক্তি পেতে পারেন।


বুকে হাঁটু: সোজা হয়ে শুয়ে এক পা হাঁটুতে বাঁকিয়ে বুকের দিকে টানুন।  খুব বেশি চাপ দেবেন না, যতটা পারেন হাঁটু নিন।  


এখানে ১০সেকেন্ডের জন্য বিরতি দিন এবং তারপর অন্য পায়ের সাথে একই কাজ করুন।  এটি প্রতিদিন ৩-৫ বার করুন।


বেসিক সিটেড স্ট্রেচ: একটি চেয়ারে বসে যে পা ব্যথা হয়, সেটিকে হাঁটুর পাশ থেকে বাঁকিয়ে অন্য পায়ে রাখুন।  পিঠ সোজা রেখে, বুক নামানোর সময় সামনের দিকে বাঁকুন। 


ব্যথা না হওয়া পর্যন্ত নীচে বাঁকানোর চেষ্টা করুন এবং ৩০ সেকেন্ডের জন্য যতদূর মনে হয় ততদূর থাকুন।  পুনরাবৃত্তি করুন।


পায়রার বসার ভঙ্গি: সোজা হয়ে বসে এক পা হাঁটুতে বাঁকিয়ে গোড়ালিটা অন্য পায়ের উপরে রাখুন।  এক হাত আপনার বাঁকানো হাঁটুর নিচে এবং অন্য হাতটি গোড়ালির নিচে রাখুন।

কোমরের পাশ থেকে বাঁক নিয়ে বাঁকানো পায়ের দিকে। ৫ সেকেন্ড ধরে রাখুন এবং অন্য পা দিয়ে পুনরাবৃত্তি করুন।



সতর্কীকরণ -

তবে প্রথমবারের মতো এই ব্যায়ামগুলির মধ্যে কোনটি করে থাকেন তবে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন।  অনেক সময় ভুল ব্যায়ামের কারণে ব্যথা ভয়াবহ রূপ নেয়।




No comments: