কোলেস্টেরল কমাতে চাইলে মেনে চলুন কিছু টিপস

 উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় বহু মানুষ ভুক্তভোগী। এটি আস্তে আস্তে গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। উচ্চ কোলেস্টেরলের ফলে হার্ট অ্যাটক, স্ট্রোক এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। 

 আপনি যদি আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে চান আর নিজের জীবনকে সুরক্ষিত করতে চান তবে বদলে ফেলুন আপনার খাদ্যাভ্যাস ।

  ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান -

বিভিন্ন ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, যেমন - মটরশুঁটি, বাদাম, ফল এবং শাকসবজি খেলে তা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। দ্রবণীয় ফাইবারগুলি শক্তিশালী হয় কারণ আপনার রক্ত ​​​​প্রবাহে কোলেস্টেরল শোষণ করার ক্ষমতা রয়েছে।  এটি অন্ত্রে কোলেস্টেরলের সাথে আবদ্ধ হতে পারে এবং এর শোষণকে বাধা দিতে পারে।

  ওটমিল গ্রহণ করুন -

বিটা-গ্লুকান হল ওটমিলে পাওয়া একটি দ্রবণীয় ফাইবার যা এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। ওটমিল বিভিন্ন আকারে পাওয়া যায়, যেমন তাৎক্ষণিক ওটস এবং ওটস ব্রান।

 অসম্পৃক্ত চর্বি খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান -

অসম্পৃক্ত চর্বি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কার্যকর। কারণ তারা আপনার শরীরের জন্য শক্তি সরবরাহ করার সময় সামগ্রিক কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ কমায়। ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ মাছ, যেমন স্যামন, ম্যাকেরেল এবং টুনা;  বাদাম, ব্রাজিল বাদাম, এবং আখরোট;  সূর্যমুখী, জলপাই, ভুট্টা এবং আখরোট তেল সহ উদ্ভিজ্জ তেলগুলি অসম্পৃক্ত চর্বির ভাল উৎস।

 নিরামিষ খাবার খান -

 খাদ্যতালিকায় নিরামিষ খাবার যোগ করলে তা দ্রুত কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করতে পারে। এটি আপনার এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে।  এটি করলে, উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগের মতো  ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করা যায়।

এছাড়া আপনি উপবাসের মাধ্যমেও কোলেস্টেরল কমাতে পারবেন।  তবে এইপ্ৰকার উপবাসের বেশ কিছু নিয়ম আছে। আপনি যদি আপনার রুটিনে উপবাসকে অন্তর্ভুক্ত করতে চান, একটি ১৬-৮ উপবাসের সময়কাল, যেখানে আপনি ৮ ঘন্টা খান এবং ১৬ ঘন্টার জন্য শুধুমাত্র জল পান করেন। এটি অনেক লোকের কাছে একটি জনপ্রিয় এবং টেঁকসই পদ্ধতি। এরফলে  খারাপ কোলেস্টেরল কমে এবং ভাল কোলেস্টেরল বাড়ে।