অতিরিক্ত পরিমাণে দুধ পান করা আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক

প্রত্যেককে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে দুধ পান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন ডি, পটাসিয়াম সহ দুধে আরও অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। এছাড়াও হাড়কে শক্ত রাখতে দুধ পান করার কথাও বলা হয়। তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, দুধ পান করা যেমন স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো তেমনি ক্ষতিকারক ।

গবেষকদের মতে দুধকে সুপারফুড হিসাবে দেখা উচিৎ নয়। তারা বলে যে দুধ শরীরের পক্ষে ভাল তবে বেশি পরিমাণে পান করা আপনার পক্ষে ক্ষতিকারক প্রমাণ করতে পারে। এক গবেষকের মতে, দুগ্ধজাত পণ্যগুলিতে বিশেষ কিছু নেই যা অন্যান্য পণ্যগুলিতে পাওয়া যায় না। এটি সত্য যে ক্যালসিয়াম দুধ থেকে পাওয়া যায় তবে আরও অনেকগুলি জিনিস পাওয়া যায় যা ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হ্রাস করতে পারে।

শুধু দুধ পান করা আপনার হাড়কে মজবুত করে না

একটি সমীক্ষা অনুসারে এটি দেখা গেছে যে দুধকে হাড়ের জন্য খুব ভাল বলে মনে করা হয়। তবে যে দেশে দুধের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি সেখানে হাড়ের ফ্র্যাকচারও  সমানভাবে দেখা যায়। এর অর্থ হ'ল কেবল দুধ পান করা আপনার হাড়কে খুব বেশি প্রভাবিত করে না। দুধ ছাড়াও আপনার দেহের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই রয়েছে।

৬৫ শতাংশ মানুষের ল্যাকটোজ সমস্যা আছে

সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, দুধ পান করেন এমন কিছু লোকের ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতার সমস্যা হয় যার অর্থ তারা দুগ্ধজাত খাবারে পাওয়া ল্যাকটোজকে সহজে হজম করতে পারে না, যার কারণে তাদের পেট ফাঁপা এবং পেটে ব্যথার অভিযোগ রয়েছে। আশ্চর্যের বিষয় হল, ৬৫ শতাংশ লোকের ল্যাকটোজ নিয়ে সমস্যা রয়েছে। ল্যাকটোজ মুক্ত পণ্য বাজারে পাওয়া গেলেও বিশেষজ্ঞরা কমলার রস, সবুজ শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন।

প্রচুর পরিমানে দুধ পান করলে ক্যান্সার হতে পারে

একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, দুগ্ধজাত খাবারের অতিরিক্ত ব্যবহার ক্যান্সারের মতো সমস্যা সৃষ্টি করে। পুরুষদের মধ্যে প্রোস্টেট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে এবং মহিলাদের মধ্যে এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার হয়। তবে এ বিষয়ে বেশি তদন্ত করা হয়নি। আপনাকে বলি যে,  দুধে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে। এছাড়াও, সোডিয়াম উপাদান পাওয়া যায়। যা হার্ট এবং রক্তচাপ উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর। অতএব, গবেষকেরা বেশি পরিমাণে দুধ গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছেন।