ওজন কমাতে এবং ত্বকের গ্ল্যামারও বাড়াতে তেঁতুলের উপকারিতা জেনে নিন

ওজন কমাতে এবং ত্বকের গ্ল্যামারও বাড়াতে তেঁতুলের উপকারিতা জেনে নিন 

জয়দেব দাস, ৩ জুলাই : 

১. তেঁতুলে হাইড্রোক্সিট্রিক অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা সরাসরি চর্বি উৎপাদন কমাতে কাজ করে। এর পাশাপাশি এটি হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখতেও সহায়ক।

২.যদি আপনার মুখে দাগ থাকে, তাহলে তেঁতুল ব্যবহার করলে খুবই উপকার পাবেন। তেঁতুল আলফা-হাইড্রক্সি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এর উপাদানটি বেশিরভাগ বিউটি পণ্যে ব্যবহৃত হয়। তেঁতুল ত্বককে ভিতর থেকে পরিষ্কার করতে কাজ করে, যা আটকে থাকা ছিদ্রগুলিও খুলে দেয়। আপনি চাইলে তেঁতুলের পাল্পের সঙ্গে বিট নুন মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। এতে পিগমেন্টেশনের সমস্যা থাকলেও তেঁতুল ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে।

৩.সরাসরি না হলেও প্ররোক্ষভাবে রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে তেঁতুল দারুনভাবে কাজে এসে থাকে। আসলে এই ফলটিতে উপস্থতি বেশ কিছু এনজাইম, কার্বোহাইড্রেটের শোষণ মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফল ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। এখন প্রশ্ন করতে পারেন কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে সুগারের কী সম্পর্ক? একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে শরীরে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা বাড়তে থাকলে নানা কারণে রক্তে শর্করার মাত্রাও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেই কারণেই তো অনিয়ন্ত্রত মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার খেতে মানা করেন চিকিৎসকেরা।

৪.একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে তেঁতুলের অন্দরে থাকা একাদিক ভিটামিন এবং খনিজ ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে রক্তে উপস্থিত বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। আর যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে হার্টের কর্মক্ষমতা কমাতে ব্লাড প্রেসার এবং কোলেস্টেরল কোনও খামতিই রাখে না। তাই শরীর যখন এই দুই ক্ষতিকর রোগ থেকে দূরে থাকে, তখন স্বাভাবিকভাবেই হার্টের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটার কোনও সুয়োগই থাকে না। এবার নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন তেঁতল খাওয়া কতটা জরুরি।