স্থুলতায় ভোগা এমন ব্যক্তিদের এই ডায়েট প্ল্যানগুলি অনুসরণ করা উচিৎ নয়

অস্থির জীবনে আমরা আমাদের স্বাস্থ্যের ভালো যত্ন নিতে পারছি না। এমন অবস্থায় অবাঞ্ছিত স্থূলতা আমাদের শরীরকে ঘিরতে শুরু করে।  মানুষ স্থূলতা কমাতে অনেক ধরণের খাদ্য ব্যবহার করে।

আজ আমরা আপনাকে জানাতে যাচ্ছি যে ওজন কমাতে অন্ধভাবে কোনো ডায়েট প্ল্যান অনুসরণ করবেন না। তবে তার আগে জেনে নিন এর সুবিধা-অসুবিধা, না হলে পরবর্তীতে আপনাকে ভুগতে হতে পারে।

কেটো ডায়েটে রক্তচাপ কমার সমস্যা

ওজন কমাতে আজকাল কেটো ডায়েটের প্রবণতা বাড়ছে। এই খাদ্যে চর্বি বেশি এবং কার্বোহাইড্রেট কম।  এ কারণে যারা নিয়মিত এই খাবার খান তাদের মধ্যে লো বিপির সমস্যা দেখা গেছে।

চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত এই খাবার খেলে হার্ট অ্যাটাক, পাথর ও কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকিও থেকে যায়। যারা ইতিমধ্যেই হার্ট বা লিভারের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই এই ডায়েট অনুসরণ করা উচিত।

প্যালিও ডায়েটে প্রোটিন গ্রহণের উপর জোর দিন

এই ডায়েটে বেশি বেশি প্রোটিন খাওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়।  মানুষকে বেশি বেশি ফলমূল ও শাকসবজি এবং আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।  তাদের দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য থেকে দূরে থাকতে এবং সেগুলি খেতে নিষেধ করা হয়। 

চিকিৎসকরা বলছেন, এই খাবার থেকে শরীর প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পেলেও দুধ ও তা থেকে তৈরি পণ্য না খেলে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দিতে পারে।

এর ফলে হাড়ের ব্যথা এবং দুর্বলতা হতে পারে। এমতাবস্থায় এই খাবারের উপকারিতা কম এবং অপকারিতা বেশি।

ক্র্যাশ ডায়েটে ক্যালোরি কম

ওজন কমানোর জন্য তৈরি এই খাবারে ক্যালোরির পরিমাণ কম রাখা হয়। অর্থাৎ এমন খাবার খাওয়া হয়, যাতে ক্যালোরি খুব কম থাকে এবং ওজনও কমে যায়।

আপনি যদি এই ডায়েটটি অবিচ্ছিন্নভাবে অনুসরণ করেন, তবে শরীরের বিপাক প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।  এমনটা করলে শরীরে রক্ত ​​সরবরাহকারী স্নায়ুর ক্ষতি হতে পারে।  এর পাশাপাশি ভবিষ্যতে হঠাৎ করে আপনার ওজন বাড়তে পারে।

প্র ভ