জেনে নিন, বর্ষায় আমিষ না খাওয়ার বৈজ্ঞানিক কারণ
বর্ষায় আমিষজাতীয় খাবার কেন ক্ষতিকারক হয়ে ওঠে ? প্রচণ্ড তাপ, ঝলসে যাওয়া রোদ এবং আর্দ্রতার পর যখন বৃষ্টির ফোঁটা পৃথিবীতে পড়ে, তখন তা সবার মনে স্বস্তির অনুভূতি দেয়, কিন্তু বৃষ্টি শুরু হওয়ার সাথে সাথেই বিপদের সৃষ্টি হয়। অনেক রোগ এবং সংক্রমণ বাড়ে। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিরোধ খুবই জরুরী, এর জন্য একটি উপায় হল প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করার সময় কিছু জিনিস এড়িয়ে চলা।
বর্ষায় আমিষ খাওয়া বিপজ্জনক কেন?
ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে যদি দেখা যায়, শ্রাবণ মাসে ভগবান শিবের আরাধনার ফলে আমিষ খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়, তবে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকেও আমিষ খাবার থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এর আসল কারণ জানিয়েছেন বিখ্যাত পুষ্টি বিশেষজ্ঞ নিখিল ভাতস।
1. ছত্রাকের বিপদ
বর্ষায় অতিবৃষ্টির কারণে বাতাসে আর্দ্রতা বৃদ্ধি পায়, এর ফলে ছত্রাক সংক্রমণ বেড়ে যায় এবং খাদ্যদ্রব্য স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত পচতে শুরু করে কারণ সরাসরি সূর্যালোক এবং আলোর অভাব থাকে।
2. দুর্বল হজম
বর্ষাকালে বায়ুমণ্ডলে আর্দ্রতা বেড়ে যায়, যা আমাদের হজমের প্রভাবকে কমিয়ে দেয়।যেহেতু আমিষজাতীয় খাবার হজম হতে বেশি সময় নেয় এবং হজমশক্তি দুর্বল হলে আমিষ জাতীয় খাবার অন্ত্রে পচন শুরু করে এবং ফুড পয়জনিং হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
3. গবাদি পশুও অসুস্থ হয়
বর্ষাকালে পোকামাকড়ের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায় এবং এর ফলে চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গুর মশা বাড়তে থাকে যার ফলে পশুরাও অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাই এসব গবাদি পশুর মাংস খেলে শরীরের ক্ষতি হয়।
4. মাছও দূষিত হয়
মাছ খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তবে বর্ষায় তা এড়িয়ে চলুন। প্রকৃতপক্ষে, অতিবৃষ্টির ফলে সমস্ত ময়লা পুকুরে চলে যায়, যার ফলে মাছ দূষিত হতে বাধ্য। এসব মাছ খেলে আপনি অসুস্থ হতে পারেন।
(অস্বীকৃতি: এখানে দেওয়া তথ্য ঘরোয়া প্রতিকার এবং সাধারণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এটি গ্রহণ করার আগে, দয়া করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।)
প্র ভ
No comments: