রাতে ঘুম না হওয়ার কারণ ঘুমের ব্যাধি নয় তো

 

আমাদের আশেপাশে বা বাড়িতে এমন অনেক মানুষ আছে যারা ভালো মতো ঘুমাতে পারে না, এর অনেক কারণ থাকতে পারে যেমন মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক না থাকা, অতিরিক্ত টেনশন নেওয়া ইত্যাদি।  যদি তাই হয়, তাহলে ঘুমের সমস্যা আছে, তা উপেক্ষা করতে ভুল করবেন না, না হলে আপনার স্বাস্থ্য বিপদে পড়তে পারে।

 ঘুমের ব্যাধি স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ

 ঘুমের ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, যার মধ্যে রয়েছে রাতে ঘুম না হওয়া, রাতের বেলায় অনিদ্রা এবং ক্রমাগত অলসতা।

  অভ্যাস পরিবর্তন করুন

  প্রচুর সংখ্যক মানুষ খারাপ অভ্যাসের কারণে ঘুমের ব্যাধিতে ভুগছে যার মধ্যে রয়েছে জীবনযাত্রার পরিবর্তন, নাইট শিফট, রাতে মোবাইল ফোনের অত্যধিক ব্যবহার।

 ঘুমের অভাব জীবনের শত্রু হয়ে উঠতে পারে

 চিকিৎসকদের মতে, একজন যুবকের প্রায় ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন, তবে সবাই এই দীর্ঘ সময় ধরে একটানা ঘুমাতে পারে না।

  অনেকের ঘুম রাতে একবার বা দুবার ভেঙ্গে যায় তারপর অনেক অস্থিরতা দেখা দেয়, সঠিক সময়ে এর চিকিৎসা করা প্রয়োজন, তা না হলে তা জীবনের শত্রু হয়ে উঠতে পারে।

 ঘুমের ব্যাধির লক্ষণ:

 দিনের বেলায় অলসতা এবং তন্দ্রা

 আট ঘন্টা ঘুমানোর পরেও ক্লান্ত হওয়া

 ঘুমানোর সময় জোরে নাক ডাকা

 ঘুমানোর সময় জোরে শ্বাস নেওয়া 

 একটানা ৩০ মিনিটের বেশি ঘুমাতে না পারা

 তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা

  অফিসের কাজে মনোনিবেশ করতে অসুবিধা

 পর্যাপ্ত ঘুমের পরেও বিরক্তি বজায় থাকে

  ঘুমানোর সময় পায়ে শিহরণ

  রাতে ঘন ঘন জেগে থাকা

 রাতে ঘুম থেকে ওঠার পর নিদ্রাহীনতা

 ঘুমের ব্যাধির কারণ

 ঘুমের ব্যাধির সম্ভাব্য কিছু কারণ হতে পারে যেমন টেনশন, দুর্বল জীবনযাপন, সাইনাস, হাঁপানি, ডায়াবেটিস, স্লিপ অ্যাপনিয়া, উচ্চ রক্তচাপ, অস্বাস্থ্যকর জ্বর, অ্যালকোহল বা সিগারেটের আসক্তি, শারীরিক পরিশ্রম কমে যাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া ইত্যাদি।  এই ধরনের পরিস্থিতিতে, অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিৎ।

 চিকিৎসা:

 অন্যান্য রোগের মতো, ঘুমের ব্যাধির জন্য অনেক পরীক্ষা রয়েছে যেমন ইলেক্ট্রোএনসেফালোগ্রাম (ইইজি), পলিসমনোগ্রাফি এবং একাধিক ঘুমের লেটেন্সি টেস্ট।  এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভিত্তিতে চিকিৎসক জানতে পারবেন আসল সমস্যা কোথায়।

 ওষুধ খাওয়ার সময় প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করুন

 এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে ঘুমের ব্যাধি রোগীদের সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার কারণগুলি ভিন্ন হতে পারে, সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য নিন এবং সঠিক চিকিৎসা নিন।  কিছু ওষুধের মাধ্যমেও পূর্ণ ঘুম পাওয়া যায়, তবে তা সঠিকভাবে ব্যবহার করা জরুরী।