রোগ থাকবে দূরে শিশুর দিন এই খাবার
বাচ্চাদের খাওয়া-দাওয়ার প্রতি খুব অনীহা। এমতাবস্থায় তাদের পরিপূর্ণ ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ানো চ্যালেঞ্জের চেয়ে কম বলা যায় না। কিছু স্বাস্থ্যকর জিনিস এবং কীভাবে তা শিশুর খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যাবে তা দেখে নেওয়া যাক।
শুকনো ফল:
শুকনো ফল পুষ্টি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ভাইরাল ইত্যাদিতে ভরপুর। এগুলো খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এর পাশাপাশি এটি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সাহায্য করে।
এ জন্য শিশুদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় শুকনো ফল যেমন বাদাম, কাজু, কিশমিশ, আখরোট ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ। আপনি এটি দুধ, স্মুদি, শেক, পুডিং ইত্যাদিতে যোগ করতে পারেন বা সন্ধ্যায় শিশুদের খাওয়াতে পারেন।
বাজরা রুটি:
শীতকালে মানুষ বিশেষ করে বাজরা রুটি খায়। এতে রয়েছে প্রয়োজনীয় সব উপাদান, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ঔষধি গুণ। এটি খাওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং ভাল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। শিশুকে বাজরা রুটি, দই, আচার ইত্যাদি খাওয়াতে পারেন।
ডিম:
শিশুর শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে তাকে সেদ্ধ ডিম খাওয়ান। এতে তাদের পেশী ও হাড় মজবুত হবে। এর পাশাপাশি, এটি ভাল বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। এটি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে তাকে সর্দি, কাশি,থেকেও রক্ষা করবে।
বিটরুট:
বিটরুট বৈশিষ্ট্যের একটি ভাণ্ডার। এটি খেলে শরীরে রক্তের অভাব দূর হয়। অনাক্রম্যতা বৃদ্ধির সাথে, এটি ভাল শারীরিক বিকাশে সহায়তা করে। তবে সাধারণত শিশুরা অনেক সময় এটি খেতে পছন্দ করে না। বিটরুট স্মুদি, জুস, কাপকেক, পুডিং ইত্যাদি বানিয়ে খাওয়াতে পারেন। এমতাবস্থায়, আপনি এটি স্বাদে খাবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
গরম দুধ:
শিশুর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য তাকে প্রতিদিন ২ গ্লাস গরম দুধ দিন। এটি তাকে ভালভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করবে। ভালো ঘুম হলে শিশু সারাদিন সক্রিয় থাকবে। আপনার শিশু যদি দুধ পানে অনীহা প্রকাশ করে, তাহলে বাদাম গুঁড়ো, চকলেট ইত্যাদি যোগ করে খাওয়াতে পারেন।
No comments: