বাড়ান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খাবারে ফল অন্তর্ভুক্ত করে
করোনা ভাইরাসের সময়ে নিজেকে ফিট রাখা খুবই জরুরী। শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যাওয়া খুব সাধারণ ব্যাপার। এ সময় যেকোনো ভাইরাস সহজেই শরীরে আক্রমণ করতে পারে ।
শরীরকে শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করা। এ জন্য খাবার পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হতে হবে। ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
শীতকালে ডায়েটে কিউই, কমলা, স্ট্রবেরিসহ আরও অনেক ফল অন্তর্ভুক্ত করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায়। স্বাদের পাশাপাশি এসব ফল স্বাস্থ্য উপকারিতাও দেয়।
স্ট্রবেরি -
স্ট্রবেরিও ভিটামিন সি-এর একটি ভালো উৎস। এতে রয়েছে ভালো পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন ব্যক্তি যদি এক কাপ স্ট্রবেরি খান, তাহলে তিনি ১০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি পেতে পারেন।
আনারস -
আনারস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি হাড়কে মজবুত করে। এতে অনেক খনিজ ও ভিটামিন রয়েছে। এটি ম্যাঙ্গানিজ সমৃদ্ধ। এক কাপ আনারস খেলে ৭৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এটি খেলে ওজন কমে।
কিউই -
কিউই ভিটামিন সি-এর খুব ভালো উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি বেশ ব্যয়বহুল, তবে একটি কিউইতে ৮৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি রয়েছে। এটি ভিটামিন কে এবং ই এর একটি ভাল উৎস। খাদ্যতালিকায় এটি অন্তর্ভুক্ত করার অনেক উপকারিতা রয়েছে।
কমলা -
কমলা শুধুমাত্র ভিটামিন সি সমৃদ্ধ নয়, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার সমৃদ্ধও। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি রক্ত বিশুদ্ধ করে। ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন বি-এর ঘাটতিও মেটানো যায় এটি খেলে।
পেয়ারা -
শীতকালে বাজারে পেয়ারা খুব সহজেই পাওয়া যায়। এতে কমলার চেয়ে বেশি ভিটামিন রয়েছে। পেয়ারা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এতে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম। খাদ্যতালিকায় পেয়ারা অন্তর্ভুক্ত করলে তা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
পেঁপে -
পেঁপে সাধারণত প্রতি ঋতুতেই পাওয়া যায়। এটি হজমের জন্য ভালো। এটি ওজন কমাতে সহায়ক এবং পেটের স্বাস্থ্যের ভালো যত্ন নেয়। এতে রয়েছে ভালো পরিমাণে ভিটামিন সি। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। একটি পেঁপে ৮৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি সরবরাহ করতে সক্ষম হতে পারে।
No comments: