Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

এই টিপসগুলি সন্তানের রাগ কমাতে পিতামাতার জন্য সহায়ক হতে পারে


শিশুদের খেলাধুলা করা এবং ছোট ছোট ঠাট্টা করা সাধারণ ব্যাপার।  শিশু যখন ছোটখাটো বিষয়ে রাগ, চিৎকার ও চেঁচামেচি শুরু করে এবং বোঝানোর পরও বুঝতে পারে না, তখন তা অভিভাবকদের জন্য কলঙ্কজনক হতে পারে।  অনেক সময় বাচ্চারা রেগে যায় কিন্তু প্রতিটা বিষয়ে এবং ক্রমাগত রাগ করা ভালো নয়।  সন্তানের রাগ নিয়ন্ত্রণ করা পিতামাতার জন্য প্রয়োজন, অন্যথায় সে ভবিষ্যতে হিংস্র হয়ে উঠতে পারে।  এখানে উল্লিখিত টিপসগুলি সন্তানের রাগ কমাতে পিতামাতার জন্য সহায়ক হতে পারে-


 সন্তানের প্রতি রাগান্বিত আচরণ পরিবর্তন করুন



 অনেক অভিভাবক আছেন যারা ছোটখাটো ভুলের জন্য সন্তানকে অনেক বকাঝকা করেন।  কেউ কেউ বাচ্চাদের গায়েও হাত তোলেন।  শিশুদের প্রতি পিতামাতার এই আচরণ তাদের রাগান্বিত ও হিংস্র করে তুলতে পারে।  এক জরিপে দেখা গেছে, আগ্রাসী অভিভাবকত্বের পদ্ধতিও সন্তানের আচরণকে রাগান্বিত করে তোলে।  শিশুকে তার ভুলের জন্য বকাবকি না করে তাকে ভালোবেসে বুঝিয়ে দিন।  তাদের কোন কাজ করতে বাধ্য করবেন না।  খুব বেশি খোঁচা দেবেন না।


 শিশুর মধ্যে রাগের কারণ বুঝুন


 অনেক সময় শিশুরা তাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া আচরণে রেগে যায়।  এর কোনো কারণ থাকতে পারে।  উদাহরণস্বরূপ, বাড়িতে মারামারি, পড়াশোনায় দুর্বল, স্কুলে অন্য কোনও শিশুর দ্বারা হয়রানি বা অন্য শিশুদের সাথে পিতামাতার তুলনা।  এ জন্য প্রয়োজন অভিভাবকদের সন্তানের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলা এবং তাদের রাগের কারণ বুঝে সমাধানের পথ খুঁজে বের করা।


 সন্তানের আচরণে মনোযোগ দিন


 বেশিরভাগ বাবা-মা তাদের কাজে এতই ব্যস্ত যে তারা সন্তানের দিকে মনোযোগ দিতে পারে না।  তাদের এই অসাবধানতা তাদের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে।  যদি শিশুটি রাগান্বিত প্রকৃতির হয় তবে পিতামাতাদের অবশ্যই তার আচরণের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।  এটির মাধ্যমে, অভিভাবকরা বুঝতে সক্ষম হবেন যে তাদের সন্তান কী রাগ করে এবং তারা তা কাটিয়ে উঠতেও সক্ষম হবেন।


 রাগ সম্পর্কে বলতে শেখান


 যে শিশুরা রাগান্বিত হয় তারা তাদের রাগের কারণ প্রকাশ করতে পারে না, তারপর তারা ভিতরে ভিতরে জ্বলতে থাকে।  বারবার ঘটার কারণে তাদের রাগ বেড়ে যায় যা তাদের বিরক্ত করে।  সেজন্য অভিভাবকদের সন্তানদের তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে শেখানো গুরুত্বপূর্ণ।

No comments: