ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে কি খাবেন আর কি খাবেন না?
ইউরিক অ্যাসিড হল রক্তে উপস্থিত এক ধরনের রাসায়নিক যা শরীরে পিউরিন নামক প্রোটিনের ভাঙনের ফলে তৈরি হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, এই রাসায়নিকটি কিডনি দ্বারা ফিল্টার করার পরে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়, কিন্তু যখন এটি শরীরে জমা হতে শুরু করে, তখন কিডনি এটি ফিল্টার করতে সক্ষম হয় না, যার কারণে এটি হাড়ের জয়েন্টগুলির মধ্যে স্ফটিকের আকারে থাকে।
সাধারণত এটি প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বের হয়ে যায়, কিন্তু যখন শরীরে ইউরিক অ্যাসিড অতিরিক্ত উৎপন্ন হয় বা শরীর তা পর্যাপ্ত পরিমাণে বের করতে পারে না, তখন সমস্যা হতে পারে। এর ফলে নানারকম শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিকিৎসার পাশাপাশি আপনাকে আপনার খাবারের ওপরেও নজর দিতে হবে। আজ আপনাদের সাথে আলোচনা করবো ইউরিক অ্যাসিড থাকলে কোন খাবার গুলো খাবেন আর কোন গুলো খাবেন না।
কি কি খাবেন ?
ফল খান : পেয়ারা, আপেল, কলা, বরই, আমলা, কিশমিশ ইত্যাদি খান।
শাক সবজি খান :
কাঁঠাল, শালগম, পুদিনা, মুলা পাতা, দুধ, বিটরুট, , বাঁধাকপি, সবুজ ধনেপাতা এবং পালং শাক ইত্যাদি। এগুলো সব ভিটামিনের ভালো উৎস।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান :
সাইট্রাস যুক্ত রসালো ফল যেমন আমলা, কমলা, লেবু, বাতাবিলেবু , টমেটো ইত্যাদি আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ। এগুলো সবই ভিটামিন সি এর ভালো উৎস।
ব্যায়াম করুন :
ব্যায়াম খুবই উপকারী বলে প্রমাণিত হয়, যা জয়েন্টগুলোকে শক্ত হয়ে যাওয়া এবং ব্যথা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। জয়েন্টগুলির বিশেষত ঘাড়, পিঠ, কাঁধ, নিতম্ব, হাঁটু এবং গোড়ালিগুলির নমনীয়তা বজায় রাখতে নিয়মিত স্ট্রেচিং ব্যায়াম করুন।
কী খাওয়া উচিত নয়?
মাংস-মাছ বা অন্যান্য সামুদ্রিক খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন, কারণ এতে পিউরিনের পরিমাণ বেশি। চিনি সহ উচ্চ চিনিযুক্ত পানীয় যেমন ঠান্ডা পানীয়, সোডা এবং ফলের রস পান করা থেকে বিরত থাকুন।
এছাড়া ফুলকপি, ব্রাসেলস স্প্রাউট, অ্যালকোহল, কালো চা, কফি, কোকো এবং গরম মশলা না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এর সাথে খুব বেশি খাওয়া এড়িয়ে চলুন। এটি করার ফলে ওজন বাড়বে। তাই অল্প পরিমানে সুষম খাবার খান।
No comments: