প্রস্রাবের রং ফ্যাকাসে ও দুর্গন্ধযুক্ত? হতে পারে এটি আপনার খাবারের কারনে

 প্রস্রাব একটি খুব ভালো মানের সূচক, যা শরীর সুস্থ বা অসুস্থতার লক্ষণ প্রকাশ করে। প্রস্রাবে কিছু পরিবর্তন দেখা দিলে তা শরীরিক কোনো সমস্যার সংকেত হতে পারে। প্রস্রাবের সাথে যুক্ত অনেক সমস্যার মধ্যে একটি হলো ফ্যাকাসে রঙের প্রস্রাব।

এই সমস্যাটি বেশিরভাগই ডিহাইড্রেশন, মূত্রনালীর সংক্রমণ, পুরুষদের প্রোস্টেটের প্রদাহ, মহিলাদের গোপনঙ্গে প্রদাহের কারণে হয়। এছাড়া খাবারে কিছু খনিজ গ্রহণ করলে প্রস্রাবের রং ও গন্ধ পরিবর্তন হতে পারে। তাই এটি এড়াতে কিছু খাবার এড়িয়ে চলা প্রয়োজন।

এটি  ফ্যাকাসে রঙের প্রস্রাবের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করতে পারে।  তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক খাবার ও পানীয়ের এমনই ৬টি জিনিস সম্পর্কে, যেগুলো ফ্যাকাসে রঙের প্রস্রাবের জন্য দায়ী এবং সেগুলো এড়িয়ে চলা উচিৎ।

সামুদ্রিক খাবার : নির্দিষ্ট ধরণের সামুদ্রিক খাবার যেমন সার্ডিন, অ্যাঙ্কোভিস এবং শেলফিশের মতো খাবারগুলি ফ্যাকাসে রঙের প্রস্রাবের কারণ হতে পারে। এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে পিউরিন থাকে, যা ইউরিক অ্যাসিডে বিপাকিত হয় এবং প্রস্রাবের রঙ পরিবর্তন করে।

মাংস : এর মধ্যে রয়েছে লাল মাংস এবং হাঁস-মুরগি। যারা নিয়মিত মাংস খান তাদের শরীরে ফসফরাস বৃদ্ধি পায়। এটি প্রক্রিয়াজাত মাংসের আকারে আরও লবণের সাথে মিলিত হয়ে মেঘলা প্রস্রাব তৈরি করে।

অ্যালকোহল : অত্যধিক অ্যালকোহল পান করলে ডিহাইড্রেশন হয়, যা প্রস্রাবের রঙ পরিবর্তনের কারণ। তাই অ্যালকোহল পান এড়িয়ে চলুন।

লবণ: সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে প্রায়ই প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিপস, প্যাকেটজাত খাবার এবং দই মাংস অন্তর্ভুক্ত থাকে। উচ্চ লবণ গ্রহণের সাথে কম জল খাওয়ার ফলে জল, মেঘলা প্রস্রাব হতে পারে।

কফি : কফি, চা সহ কালো এবং ক্যাফেইনযুক্ত গ্রিন টিগুলির অতিরিক্ত সেবনও ডিহাইড্রেশনের কারণ হতে পারে। তাই, ফ্যাকাসে রঙের প্রস্রাব হয় তবে এগুলি এড়িয়ে যাওয়া উচিৎ।

 দুগ্ধজাত পণ্য : দুধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্যের অতিরিক্ত সেবনের ফলে শরীরে ফসফরাসের পরিমাণ বেড়ে যায়। যার কারণে প্রস্রাবের রঙ ফ্যাকাসে হয়ে যায়। যখন ব্যক্তি ইতিমধ্যেই কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তখন এটি তীব্র হয়।

 এখানে উল্লিখিত খাবার এবং পানীয়গুলি পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করলে স্বাস্থ্যের উপর ভাল প্রভাব ফেলে।  ডায়েট মেনে চলার পরও যদি প্রস্রাবের রং না কমে বা ব্যথা বা জ্বর অব্যাহত থাকে, তাহলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।