অল্প সময়ে ধাপে ধাপে মেকআপ করার পদ্ধতি

 আজকের নারীরা অফিসের পাশাপাশি বাড়ির সামলাচ্ছেন।  এমন অবস্থায় তাদের সবকিছু দ্রুত করতে হবে।  এই কারণে, অনেক সময় মেকআপ করাটা অলস বলে মনে হয় । কিন্তু আজকের যুগে এগিয়ে যেতে নিজেকেও সবসময় সব পরিস্থিতিতে আত্মবিশ্বাসী থাকতে হবে। এই আত্মবিশ্বাস তখনই থাকবে যখন আপনি নিজেকে সুন্দর রাখতে পারবেন। এই সুন্দর রাখা অনেকটা নির্ভর করে আপনার মেকআপের ওপর।  আজ আপনাকে খুব অল্প সময়ে ধাপে ধাপে মেকআপ করার পদ্ধতি বলবো। 

ফেস আইসিং -

 আবহাওয়া এখনও কিছুটা গরম।  তাই মেকআপ করার আগে ফেস আইসিং করুন।  এতে ত্বকের ছিদ্র ছোট হয়ে যায়।  চেহারায় উজ্জ্বলতা নিয়ে মেকআপ দীর্ঘ সময় স্থায়ী হয়

টোনিং -

এরপর টোনিং করুন।  এটি ত্বককে গভীরভাবে পরিষ্কার করে।  এছাড়াও, টোনার ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।  এর জন্য আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী টোনার বেছে নিন।  আপনি চাইলে টোনারের পরিবর্তে গোলাপ জল দিয়ে ফেসিয়াল টোনিংও করতে পারেন।  গোলাপ জল আলতো করে পরিষ্কার করে ত্বককে পুষ্ট করবে।  খোলা ত্বকের ছিদ্র ছোট হবে।  এছাড়াও মুখ সুস্থ ও উজ্জ্বল দেখাবে।

ফাউন্ডেশন -

 মেকআপের তৃতীয় ধাপে ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন।  এটি ত্বকের টোন হালকা করতে সাহায্য করে।  মুখের দাগ, ফ্রিকেল, ডার্ক সার্কেল ইত্যাদি দেখা যায় না।  সারা মুখে বিন্দুতে ফাউন্ডেশন লাগান।  তারপর হালকা হাতে টোকা দিয়ে লাগান।  আপনার যদি ফাউন্ডেশন না থাকে তবে আপনি কমপ্যাক্ট পাউডার প্রয়োগ করতে পারেন।  এটি আপনার মেকআপকে সম্পূর্ণ রূপ দিতেও সাহায্য করবে।

চোখের মেকআপ -

 চোখে আইশ্যাডো লাগানোর বদলে শুধু কাজল, আইলাইনার এবং মাস্কারা লাগান।  এর পরে, একটি গাঢ় বাদামী ভ্রু পেন্সিল প্রয়োগ করে ভ্রু কালো করুন।  এটি আপনার চোখে একটি সহজ অথচ আকর্ষণীয় চেহারা দেবে।

লিপস্টিক -

শেষ ছোঁয়াটা হবে লিপস্টিক দিয়ে।  লিপস্টিক ছাড়া মেকআপ অসম্পূর্ণ দেখায়।  তাই আপনার স্কিন টোন অনুযায়ী লিপস্টিক বেছে নিন।  যদি আপনার পাতলা ঠোঁট থাকে, তাহলে প্রথমে তাদের লিপ লাইনার দিয়ে রূপরেখা দিন।  এটি আপনার ঠোঁটকে নিখুঁত আকৃতি দেবে এবং সেগুলো সুন্দর দেখাবে।