কীভাবে এড়াবেন ফ্যাটি লিভার?

 ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় যারা ভুগছেন শুধুমাত্র তারাই এটি সম্পর্কে জানেন। আসলে, এই অবস্থায় লিভার স্বাভাবিক আকারের চেয়ে বেশি বড় হয়ে যায়। ফলে যা খাওয়া হয় তা হজম করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। 

এই পরিস্থিতিতে, ডাক্তার প্রায়শই দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া এড়াতে পরামর্শ দেন তবে এমন অনেক জিনিস রয়েছে যা এড়িয়ে চলা দরকার। এমন কিছু জিনিস সম্পর্কে বলছি, যা উপকারী হতে পারে।

 কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়: ফ্যাটি লিভার এমন একটি অবস্থা যা ওষুধ দিয়ে সম্পূর্ণ নিরাময় করা যায় না।  তাই এই সমস্যাটি বাড়তে না দেওয়ার জন্য, আপনার এই ব্যবস্থাগুলি গ্রহণ করা উচিৎ :

১)স্থূলতা নিয়ন্ত্রণ

২)অ্যালকোহল কম পান করা

ফ্যাটি লিভারের ক্ষেত্রে, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আমাদেরকে এমন খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন, যা ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে পরিপূর্ণ। যেমন - আখরোট, স্প্রাউট, সয়াবিন, ফ্ল্যাক্সসিড, স্ট্রবেরি, ব্রোকলি, রাস্পবেরি জাতীয় খাবার খাওয়া উচিৎ।  

এছাড়া ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তি পেতে আপনাদের দুটি টোটকা জানাব -

১. এক গ্লাস উষ্ণ জল নিন। তাতে এক চামচ আপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন। এতে এক চাপ মধু দিন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তা পান করুন। অনেক উপকার পাবেন।

২. এক গ্লাস উষ্ণ জলে একটি পাতি লেবু রস ও মধু মেশান। রোজ সকালে খালি পেটে এটি পান করুন। এটি লিভারের মেদ বার্ন করে। 

এছাড়াও, স্থূলতা কমাতে ব্যায়াম এবং কম চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া উচিৎ।

এছাড়া ফ্যাটি লিভার মেরামত করার জন্য ব্যারিয়াট্রিক সার্জারি করা হয়, যা লিভারের ক্ষতি পূরণ করে। ব্যারিয়াট্রিক সার্জারি ফ্যাটি লিভারের জন্য উপকারী হতে পারে তবে এই সার্জারি শুধুমাত্র নন-অ্যালকোহলযুক্ত ফ্যাটি লিভারে উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।  এই ধরনের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে স্থূলতাও কমতে শুরু করে এবং স্থূলতা ফ্যাটি লিভারের অন্যতম প্রধান কারণ।

লিভার প্রতিস্থাপনও ফ্যাটি লিভারের বিকল্প হতে পারে। তবে এটি অনেক ব্যয়বহুল।

 মনে রাখতে হবে: যদি ফ্যাটি লিভারের সমস্যা ধরা পড়ে, তাহলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন এবং সঠিক খাদ্য, ব্যায়াম এবং ওষুধ গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।