কৃমির সমস্যায় মেনে চলুন কিছু ঘরোয়া উপায়
পেটের কৃমি বা অন্ত্রের কৃমি এক ধরনের পরজীবী। যা শুধু পাকস্থলী নয়, শরীরের অনেক অংশেই প্রভাব ফেলতে পারে। বাচ্চাদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। ফলে তাদের পেট ব্যাথা করে এবং বমি, ডায়রিয়ার সমস্যাও দেখা যায়। এছাড়া খিদে কমে যায়। এর পাশাপাশি ওজনও কমে যায়। খাবার অন্ত্রে প্রবেশ করলে এই কৃমিগুলি তা খেয়ে ফেলে এবং অন্ত্রের আস্তরণের রক্ত চুষে তাদের সংখ্যা বাড়াতে থাকে।
এটি অবশ্যই চিকিৎসা করা উচিত। তবে রান্নাঘরে থাকা কিছু প্রাকৃতিক জিনিস আছে যা দিয়ে সহজেই দূর করা যায় এই কৃমি। চলুন জেনে নিই তাদের সম্পর্কে।
রসুন :
রসুনে রয়েছে অ্যালিসিন এবং এজিন নামক উপাদান, যা পেটের কৃমি দূর করতে খুবই কার্যকরী ঘরোয়া প্রতিকার।
ব্যবহার :
কাঁচা রসুনের দুই বা তিনটি কোয়া প্রতিদিন খালি পেটে খেলে মলের মাধ্যমে পেটের কৃমি বেরিয়ে যায়। খাবারে রসুনের পরিমাণ বাড়ালেও উপকার পাওয়া যায়।
পেঁপে :
পেঁপে পেটের কৃমি দূর করতে কার্যকর । কারণ এতে অ্যান্থেলমিন্টিক এবং অ্যান্টি-অ্যামিবিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা অন্ত্রের দেয়ালে আটকে থাকা কৃমিকে বের করে দেয়। এর পাশাপাশি এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল।
ব্যবহার :
শুধু পেঁপে খান বা পেঁপে ও নারকেলের দুধ পিষে খেয়ে নিন, দুটোই কার্যকর। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এটি খান।
হলুদ :
হলুদে রয়েছে কারকিউমিন যা পেটের কৃমি মারতে সাহায্য করে। কারকিউমিন অ্যানথেলমিন্টিক এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ এবং কৃমির পাশাপাশি অন্ত্র থেকে অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলিকে বের করে দেয়।
ব্যবহার : এর জন্য কাঁচা হলুদ খেতে পারেন। এটি কৃমি দূর করার পাশাপাশি লিভার সুস্থ রাখে। তবে আপনি যদি কাঁচা হলুদ এমনি না খেতে পারেন তবে হলুদ দুধ খান। পেটের কৃমির জন্য এটি একটি খুব ভালো ঘরোয়া প্রতিকার। এটি প্রতিদিন খাওয়া উচিত।
এই চিকিৎসা শিশুদের পাশাপাশি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য কার্যকরী।
No comments: