শিশুকে বেগুন খাওয়ান, তবে কিছু নিয়ম মেনে
বেগুন অনেক পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং এই কারণেই এটি বিভিন্ন ভাবে রান্না করা এবং খাওয়া হয়। বেগুনে রয়েছে ভিটামিন এ, ফলিক এসিড এবং পাকস্থলীর জন্য উপকারী ফাইবার। এই সমস্ত পুষ্টি একত্রে শিশুর বিকাশে সাহায্য করে। এছাড়াও বেগুনে রয়েছে ভিটামিন কে এবং ক্যালসিয়াম, যা শিশুদের হাড় গঠন ও মজবুত রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া এই সব্জিতে অনেক পুষ্টি রয়েছে যা শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয়।
এতো পুষ্টিগুণ থাকা সত্বেও শিশুকে বেগুন খাওয়ানো উচিত বেশ কিছু নিয়ম মেনে।
বাচ্চাদের বেগুন খাওয়ানোর ক্ষেত্রে একটি বিষয়ে বিশেষ যত্ন নিতে হবে এবং তা হল শিশুর বয়স। একটি নির্দিষ্ট বয়সের পরেই শিশুকে বেগুন খাওয়ালে উপকার পাওয়া যায়। এখানে আমরা আপনাকে শিশুদের জন্য বেগুন খাওয়ার উপকারিতার পাশাপাশি এটি খাওয়ার সঠিক বয়স সম্পর্কে বলছি।
কোন বয়স থেকে আমাদের বেগুন খাওয়ানো উচিৎ? শিশুরা সাধারণত ছয় মাস বয়সের পর ধীরে ধীরে শক্ত খাবারের সাথে পরিচিত হয়। তবে কিছু বেগুনের স্বাদ তেতো থাকে তাই তাদের খাওয়ানোর সর্বোত্তম সময় ৮ থেকে ১০মাস বয়সের মধ্যে। কারণ বেগুনের তিক্ততা আস্তরণকে নষ্ট করতে পারে।
অতএব, শিশুদের জন্য শুধুমাত্র হালকা স্বাদের বেগুন কিনুন এবং তাদের সঠিকভাবে রান্না করুন বা তাদের খাওয়ানোর আগে পিউরি করুন।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূরে রাখে : বেগুনে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রক্ষা করে। বেগুন খাওয়ার ফলে এলডিএল কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডও কমে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
এক কাপ রান্না করা বেগুন একটি শিশুর প্রতিদিনের ম্যাঙ্গানিজ এবং অন্যান্য পুষ্টির ১০ শতাংশ সরবরাহ করে।
এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিক্যালের কারণে হওয়া ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং স্ট্রোক এবং ক্যান্সারের মতো রোগ থেকেও দূরে রাখে।
এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন :প্রথমে বেগুনের খোসা ছাড়িয়ে তার বীজ বের করে নিন তারপর সেদ্ধ করে রান্না করুন। শিশু যখন এটি হজম করতে পারবে, তখনই তাকে খোসাসহ বেগুন খাওয়ানো শুরু করতে পারেন।
No comments: