ত্বকের টোন বাড়াতে শীতে প্রতিদিন পান করুন গাজর ও বিটের রস, জেনে নিন এর উপকারিতা
শীতে গাজর ও বিটরুটের রস পান করলে কী কী উপকার পাওয়া যায়? শীতের মৌসুমে আপনি অবশ্যই সালাদ, জুস আকারে গাজর এবং বিটরুট খান। গাজর এবং বিট আয়রন, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। উভয়ই পুষ্টিগুণে ভরপুর, তাই এগুলোকে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন যে গাজর এবং বিটরুট স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বকের জন্যও অনেক উপকারী। শীতের মৌসুমে নিয়মিত গাজর ও বিটের রস পান করলে ত্বকের রং ভালো হয়। ত্বক সংক্রান্ত আরও অনেক সমস্যাও দূর হতে শুরু করবে।
গাজর ও বিটের রস ত্বকের জন্য কতটা উপকারী?
গাজর এবং বীট আয়রন, ভিটামিন এবং খনিজগুলির খুব ভাল উত্স। এই পুষ্টি উপাদানগুলো ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসলে, গাজর এবং বিটের রস পান করলে শরীর থেকে সমস্ত বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায়, যার ফলে ত্বক পরিষ্কার হয়ে যায় এবং এর রং উন্নত হতে শুরু করে। এই রস খেলে ত্বকের কোষ বা ত্বকের কোষ শক্তিশালী হয়, তাদের বিকাশ ঘটে।
গাজর এবং বিটরুটের জুস ত্বকে ব্রণ, ফোঁড়া এবং ব্রণের সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়। শীত মৌসুমে এই জুস পান করলে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়, ত্বক উজ্জ্বল দেখায়। গাজর এবং বিটরুটের রস ত্বকের কোষ মেরামত করতে সাহায্য করে। গাজর এবং বীটের রস পান করলে ত্বকের অনেক উপকার হয়।
গাজর এবং বীটের রস পান করে ত্বকের জন্য উপকারী
শীতকালে গাজর এবং বিটরুটের রস পান করা শুধুমাত্র স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, ত্বকের জন্যও অনেক উপকার দেয়। গাজর, বিটরুটে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং মিনারেল, যা ত্বক পরিষ্কার করে এবং আপনার সৌন্দর্য বাড়ায়।
1. ত্বক ফর্সা করার জন্য গাজর বিটরুটের রস
অনেক সময় সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির কারণে ত্বকের টোন খারাপ হয়ে যায়। ত্বক খুব নিস্তেজ, শুষ্ক এবং প্রাণহীন দেখায়। আপনিও যদি এই নিয়ে অস্থির হয়ে থাকেন, তাহলে শীতের মৌসুমে আপনি আপনার খাদ্যতালিকায় গাজর ও বিটের রস অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। প্রতিদিন এই জুস পান করলে আপনার ত্বকের রং ধীরে ধীরে উন্নত হবে। গাজর এবং বিটরুট শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে, যার কারণে শরীর ভেতর থেকে পরিষ্কার থাকে এবং ত্বকেও এর প্রভাব দেখা যায়।
২. গাজর বিটরুটের রস বার্ধক্যের লক্ষণ কমায়
শীতকালে নিয়মিত গাজর ও বিটের জুস পান করলে বার্ধক্যের লক্ষণ কমাতে সাহায্য করে। গাজর, বিটের রস পান করলে ত্বকের বার্ধক্যের লক্ষণ যেমন ব্রণ, দাগ এবং ফাইন লাইন চলে যেতে শুরু করে। গাজর এবং বিটের রস একসাথে মিশিয়ে পান করলে ত্বকের ক্ষতি করে এমন ফ্রি র্যাডিক্যালের প্রভাব কমে। বিটরুটে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিক্যালের প্রভাব কমায়। এছাড়াও গাজর এবং বিট উভয়ই ভিটামিন এ, ক্যারোটিনয়েড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এই সমস্ত উপাদান মুখের টিস্যু শক্ত করতে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে। এই জুস পান করলে ত্বক টানটান হয়।
3. পিগমেন্টেশন প্রতিরোধ করে
গাজর এবং বিটের রস পান করলে পিগমেন্টেশন প্রতিরোধে সাহায্য করে। গাজর-বিটের রস পান করলে ত্বকের গঠনও ভালো হয়। আজকাল পিগমেন্টেশন এবং বিবর্ণতার সমস্যা খুব সাধারণ হয়ে উঠেছে, এই জুস পান করলে এই দুটি সমস্যাই দূর হয়। গাজর এবং বিটরুটে রয়েছে ভিটামিন সি, আয়রন, এই উপাদানগুলি ত্বকের বর্ণকে স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। এই স্বাস্থ্যকর জুস পান ত্বককে নরম ও কোমল রাখতেও সাহায্য করে।
4. শুষ্ক ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করে
গাজর এবং বিটরুটের রস শীতকালে শুষ্ক ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। গাজর, বিটরুটের রস ত্বকের গঠন উন্নত করতে সহায়ক। এই দুটি ফলই প্রাকৃতিকভাবে হাইড্রেট, ত্বককে ময়শ্চারাইজ করে। এই জুস পান করলে ত্বক হয়ে ওঠে কোমল, উজ্জ্বল। শুষ্ক ত্বক, মৃত ত্বকের কোষ দূর করতে আপনাকে নিয়মিত গাজর এবং বিটের রস খেতে হবে। গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, যা ত্বককে তরুণ রাখতে সহায়ক।
5. মুখের দাগ দূর করে
শীতকালে ত্বক খুব শুষ্ক হয়ে যায়, যার কারণে ত্বকে ব্রণ বা ব্রণ শুরু হয়। কিছু সময় পরে এই ব্রণ দাগে পরিণত হয়। গাজর ও বিটের রসও পান করা যেতে পারে দাগের সমস্যা দূর করতে। নিয়মিত গাজর ও বিটের রস খেলে ত্বকে আর্দ্রতা আসে, ত্বক সুন্দর হয়।
6. ব্রণ প্রতিরোধ করে
শীতকালে যদি আপনার মুখে ব্রণ হতে শুরু করে, তাহলে আপনি নিয়মিত গাজর এবং বিটের রস খেতে পারেন। গাজর, বিটরুটে উপস্থিত উপাদানগুলি শরীর থেকে সমস্ত বিষাক্ত উপাদানগুলিকে বের করে দিতে সাহায্য করে, যা ত্বককে স্বাস্থ্যকর করে তোলে। ত্বকে ব্রণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের হয়ে গেলে ধীরে ধীরে ত্বকের সব সমস্যা দূর হতে থাকে।
ত্বকের এই সব সমস্যা দূর করতে এবং ত্বক সুন্দর রাখতে শীত মৌসুমে অবশ্যই গাজর, বিটের জুস পান করতে হবে। নিয়মিত এক গ্লাস গাজর-বিটের রস পান করলে স্বাস্থ্য ও ত্বক উভয়েরই উপকার হয়। স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শেই এই জুস খান।
No comments: