Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

জেনে নিন করোনা থেকে নিরাময় হওয়া মানুষদের ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ কী








করোনা সংক্রমণ যখন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছিল, ডাক্তাররা তখন প্রায়ই বলতেন, যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের করোনা হওয়ার ঝুঁকি বেশি।  এখন একই কথা অন্যভাবে সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। কারণ এখন করোনা থেকে নিরাময় হওয়া ব্যক্তিদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়েছে।  এই নতুন তথ্য উদ্বেগজনক।


 করোনার চিকিৎসার জন্য দেওয়া স্টেরয়েড ডায়াবেটিসকে আমন্ত্রণ স্বরূপ প্রমাণিত হচ্ছে।  করোনা থেকে সুস্থ হওয়া রোগীদের রক্তে সুগারের পরিমাণ বেড়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।  এই ধরনের ব্যক্তিদের প্রতি ছয় মাসে তাদের চিনির মাত্রা পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।  যাদের পরিবারের সদস্যদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের তা করার জন্য বিশেষভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


 এ কারণেই এখন বিপুল সংখ্যক যুবকের ডায়াবেটিস হতে শুরু করেছে।

 


চিকিৎসকরা বলছেন, মুম্বই-পুনের মতো শহরে করোনা থেকে নিরাময় হওয়া উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী সামনে এসেছে।  ডায়াবেটিসের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে।  নতুন যারা ডায়াবেটিসের রোগী হিসেবে শনাক্ত হচ্ছে, তাদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন এমন বিপুল সংখ্যক মানুষ।


 করোনার চিকিৎসায় ব্যবহৃত স্টেরয়েড শরীরে চিনির মাত্রা বাড়ায়



 এই ধরনের ব্যক্তিরা অতিরিক্ত তৃষ্ণা, ঘন ঘন প্রস্রাব, ঝাপসা দৃষ্টি, শরীরে আঘাত বা ক্ষত সারাতে সময় লাগে, ক্লান্তির মতো সমস্যার সম্মুখীন হন।  স্টেরয়েড ও ইনসুলিন ভিত্তিক চিকিৎসার কারণে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়েছে।  জেনারেল ফিজিশিয়ান ডাঃ সঞ্জয় নাগারকারের মতে, করোনা সংক্রমণের প্রভাবে রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যায়।  করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্ত হওয়ার পর তা ডায়াবেটিসকে আমন্ত্রণ জানায়।


 করোনা থেকে নিরাময় হওয়া মানুষের ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কী করবেন?



 প্যাথলজি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার প্রথম তরঙ্গের তুলনায় দ্বিতীয় তরঙ্গে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ডায়াবেটিসের সমস্যা বেশি দেখা গেছে।  এই ধরনের ব্যক্তিদের, বিশেষ করে যারা করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে সংক্রমিত হয়েছিল, তাদের ডায়াবেটিস এড়াতে কিছু বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।  জাঙ্ক ফুড খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।  পর্যাপ্ত ঘুম পাওয়া জরুরি।  এ ছাড়া খাবার-দাবারে কিছুটা সংযম রাখতে হবে।  নিয়মিত ব্যায়াম করাও জরুরি।  নিয়মিত চেক-আপ করিয়ে এটি অনেকাংশে প্রতিরোধ করা যায়।

No comments: