Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

জানুন গ্রীষ্মকালের খাদ্যতালিকায় কী কী রাখবেন

 



গরমের মাত্রা যে হারে বাড়ছে, সেটা মাথায় রেখে আপনার রোজের খাদ্যতালিকায় কিছু বদল নিয়ে আসুন এখনই৷ তা হলে সুস্থ থাকবেন এবং রোজের কাজকর্মে কোনও সমস্যা সৃষ্টি হবে না৷ গরমকালে প্রায়শই ক্লান্তিবোধ আচ্ছন্ন করে রাখে শরীরকে, সেটা কাটানোর জন্য যথাযথ ডায়েটের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে৷


গ্রীষ্মকালে প্রচুর ফল ও সবজি পাওয়া যায় বাজারে৷ খেয়াল করে দেখলেই বুঝতে পারবেন, বেশিরভাগ ফলই খুব রসালো, সবজিতেও জলের মাত্রা বেশি৷ কারণটা সহজবোধ্য, এই সময়ে যেহেতু ঘাম বেশি হয়, তাই আপনার শরীরে জলের চাহিদাও থাকে বেশি৷ জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে প্রথমেই৷ কিন্তু সেই সঙ্গে আবার এটাও মনে রাখবেন যে যেখানে সেখানে জল বা খাবার খাওয়ার কারণে মারাত্মক ডিসেন্ট্রি বা জন্ডিস, টাইফয়েডের মতো কঠিন অসুখও এই ঋতুতে হতে পারে৷ সেটা থেকে সাবধানতা অবলম্বন করতে চাইলে রাস্তার খোলা খাবার আর জল থেকে দূরে থাকাই ভালো৷ খাবারে নুনের সঠিক মাত্রা বজায় রাখতে হবে, কারণ নুনের অভাবে মারাত্মক হিট ক্র্যাম্প হতে পারে৷ যাঁরা রাতারাতি ওজন কমানোর জন্য খাদ্যতালিকা থেকে নুন পুরো ছেঁটে ফেলেছেন, তাঁরা কিন্তু মুশকিলে পড়বেন৷


খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন আম, পুদিনা, তরমুজ ও লেবু: আম খেলে ওজন বাড়ে, এমন একটা ধারণার বশবর্তী হয়ে অনেকেই এই মরশুমি ফলটির থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকেন৷ ‘‘কিন্তু সেটা বোকামি, কারণ সব ফলেই ভিটামিন, মিনারেল আর অ্যান্টি অক্সিড্যান্টের পাশাপাশি সামান্য প্রোটিন আর ফ্যাটও থাকে৷ আম আপনার শরীরে নুনের ঘাটতি কমায়, গরম আর আর্দ্রতার কারণে শরীরে ক্লান্তিভাব এলে সেটা কাটিয়ে তুলতে সাহায্য করে৷ এখানেই শেষ নয়, আম শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে, ফলে আপনি জীবাণুর সঙ্গে সহজে লড়াই করতে পারবেন,’’ বলছেন নিউট্রিশনিস্ট হেনা নাফিস৷ কাঁচামিঠে আম নুন-লঙ্কা দিয়েও খেতে পারেন৷ বাদ দেবেন না তরমুজ ও ফুটিও, কারণ এই দু’টি ফলেই প্রচুর পরিমাণ জল থাকে, থাকে পটাশিয়াম৷ লেবু স্যালাড থেকে আরম্ভ করে ডাল, ঝোল, শরবত বা যে কোনও খাদ্য-পানীয়ের স্বাদ বাড়াতে সাহায্য করে৷ পুদিনার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে খনিজ, এর মেন্থল হজমে সাহায্য করে৷ লেবু আর পুদিনার জল আপনাকে সুস্থ রাখবে গ্রীষ্মে৷ বেল, শসা, ঘরে পাতা দইও নিয়মিত খাওয়া উচিত৷


কী কী খাবেন না: দূরে থাকুন আইসক্রিম, বোতলজাত পানীয়, সুস্বাদু ককটেল ইত্যাদি থেকে৷ কোল্ড কফির চেয়ে বাড়িতে তৈরি আইসড টিতে অনেক কম ক্যালোরি থাকে, আইস ললির চেয়ে ভালো অপশন হচ্ছে তাজা ফল থেকে তৈরি করে নেওয়া রস৷ তবে ফলের রস বেশিক্ষণ ফেলে রেখে খাবেন না৷ লো-ফ্যাট, লো-সুগার জেলাটো আইসক্রিমের চেয়ে ভালো অপশন৷ সবচেয়ে ভালো হয় যদি বাড়িতে পাতা দই আর আর তাজা ফল থেকে ফ্লেভারড ইয়োগার্ট তৈরি করে নিতে পারেন৷

No comments: