খুব গরমে শরীরকে শীতল কিভাবে রাখবেন জানুন

 

আপনি হয়তো ভাবছেন, শোওয়ার ঘর ছেড়ে এবার বসার ঘরেও একটা এসি লাগাবেন। অফিস যাতায়াতের সময় ভরসা রাখবেন হিমশীতল অ্যাপ ক্যাবের উপর, বাজার করবেন স্রেফ এসি শপিং মল থেকেই… তাতেও কিন্তু গরমের মারণ আক্রমণ ঠেকাতে পারবেন না! তার চেয়ে এমন কয়েকটি পদ্ধতি ট্রাই করে দেখলে হয় না, যা ভিতর থেকেই আপনাকে হিমশীতল থাকতে সাহায্য করবে?

এমন খাবার খান, যা ‘পিত্ত দোষ’ নিবারণ করবে: আয়ুর্বেদ বলে, গরমকালে মানুষের পিত্ত তীব্র হয়ে ওঠে। তাই শরীরে শীতলভাব বজায় রাখতে চাইলে সবার আগে পিত্তবর্ধক খাবারগুলিকে বাদ দিতে হবে। শীতের দিনে যা যা ভালোবেসে পাতে তুলে নিয়েছেন, সেই গাজর, ফুলকপি, বিট, বাঁধাকপি বাদ দিন গ্রীষ্মের খাদ্যতালিকা থেকে। বদলে রাখুন শসা, ঝিঙে, পটল, কুমড়ো, এঁচড়ের মতো সবজি ও তরমুজ, ফুটি, বেল, আপেল ইত্যাদি ফল। কিছুদিন বাদে আম উঠবে, তখন আমও খেতে পারেন নিশ্চিন্তে। প্রতিটি ফল ও সবজিতেই জলের পরিমাণ বেশি, তা শরীর শীতল রাখবে। সেই সঙ্গে দইয়ের ঘোল, ডাবের জল ইত্যাদি খেতেও ভুলবেন না। চিজ়, তেল-মশলা, ভাজাভুজি, বেশি লঙ্কা, কমলালেবু ইত্যাদি যতটা কম খাবেন, ততই ভালো।

নির্দিষ্ট সময়ে খান: খাওয়ার মাঝে খুব বেশিক্ষণের গ্যাপ দেবেন না। খালি পেটে অ্যাসিড, পিত্ত সবেরই বাড়াবাড়ি ঘটে। দিনের মাঝখানে (অর্থাৎ লাঞ্চ ব্রেকে) সবচেয়ে ভারী খাবার খান, রাতের দিকে হালকা খেলেও চলবে। বেশি করে স্যালাড আর ফলমূল খাওয়া উচিত এ সময়ে।

স্নানের আগে মাখুন নারকেল তেল: মাথায় আর গায়ে খাঁটি নারকেল তেল মেখে স্নান করুন, আপনার ত্বকে হিট র‍্যাশ বেরনোর মাত্রা নিশ্চিতভাবেই কমবে। নারকেল তেল সানস্ক্রিন হিসেবেও কাজ করে, তাই নিরক্ষীয় অঞ্চলে তার বহুল ব্যবহার দেখা যায়।

খুব বেশি গরম পানীয় বা গরম জল খাবেন না: গরমের দিনে এমনিতেই চা-কফি খেতে ইচ্ছে করে না, গরম জলও বেশি খাবেন না। ঘরের তাপমাত্রায় জল-শরবত অবশ্য চলতে পারে! বরফ-ঠান্ডা পানীয় থেকেও দূরে থাকুন, তাতেও শরীর গরম হয়। খাবার খাওয়ার মতোই নিয়ম করে জল খাওয়াও খুব দরকারি। অন্তত পাঁচ লিটার জল খাওয়া বাধ্যতামূলক।

ভারী এক্সারসাইজ় সারুন ভোরবেলা অথবা সন্ধের পর: খুব ভোরে বা সন্ধে নামার পর যখন প্রকৃতি শীতল হয়েছে, তখনই একমাত্র ভারী ব্যায়াম করুন। রোদের মধ্যে ভারী ব্যায়াম করলে মাসলে ক্র্যাম্প ধরা থেকে আরম্ভ করে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে।