Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যেস বাদ দিবেন কি করে জেনে নিন

 



সামান্য টেনশনে বা উত্তেজনায় ভুগলেই কি নখ কামড়ানোর বদভ্যাস আছে আপনার? যাঁরা দাঁতে নখ কাটেন, তাঁরা খুব ভালোমতোই জানেন যে অভ্যেসটি অত্যন্ত বিরক্তিকর এবং লোকজনের সামনে রীতিমতো লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। তার চেয়েও বড়ো কথা, হাত দিয়ে আমরা সারাদিন নানা ধরনের কাজ করি, ফলে হাতে অজস্র জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়াও বাসা বাঁধে। দাঁত দিয়ে নখ কাটলে সেগুলি সরাসরি আপনার মুখে প্রবেশ করতে পারে। এই অভ্যেস থাকলে যে কেবল নখের আকারই খারাপ হয়ে যায় তা নয়, দাঁতে বা মাড়িতে আঘাত লাগতে পারে। নখের চারপাশের টিস্যু জখম হয়, অনেক সময় সামনের দাঁতেও চিড় ধরে যায়। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, নখ চিবানোর অভ্যেসটা ছাড়ার চেষ্টা করুন। তার জন্য নিচে বাতলে দেওয়া পদ্ধতিগুলি ট্রাই করে দেখতে পারেন।


ম্যানিকিওর করান নিয়মিত: নিয়ম করে ম্যানিকিওর করালে দুটো ব্যাপার হতে পারে। এক, ম্যানিকিওর বেশ খরচসাপেক্ষ। দুই, ম্যানিকিওর করা আর নেলপলিশ লাগানোর পর আপনার হাত দেখতে এত সুন্দর হয়ে যাবে যে দাঁত দিয়ে টেনে নখ ছিঁড়তে ইচ্ছে করবে না। অনেক প্রসাধন প্রস্তুতকারক সংস্থাই ‘বিটার নেলপলিশ’ বলে একটি প্রডাক্ট তৈরি করে এই অভ্যেস ছাড়ানোর উদ্দেশ্য নিয়ে, সেটিও সংগ্রহ করার চেষ্টা করতে পারেন। অনলাইনে সহজেই কিনতে পাওয়া যায়।


ঠিক কোন কারণে নখ চিবানোর হার বাড়ছে, সেটা বের করার চেষ্টা করুন: ঠিক কোন কোন ট্রিগার থেকে সমস্যাটি জটিল আকার ধারণ করছে, সেটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। কেউ টেনশন থেকে এমনটা করেন, কেউ খিদে পেলে করেন, কারও ক্ষেত্রে ভয় পাওয়া বা স্রেফ বোর হয়ে যাওয়াটাও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কোন পরিস্থিতিতে সমস্যা বাড়ে, সেটা খুঁজে বের করা গেলে সমাধানও সহজ হবে।


হাতের কাছে রাখুন চিউয়িং গাম আর স্ট্রেস বল: আপনার হাত আর মুখ দুটোই যদি ব্যস্ত থাকে, তা হলে নখ চিবানোর হার নিশ্চিতভাবেই কমবে। হাতের কাছে স্ট্রেস বল আর চিউয়িং গাম রাখুন। সারাক্ষণ দাঁতে নখ কাটার অভ্যেস আছে যাঁদের, তাঁরা চিউয়িং গাম চিবোলেই অনেকটা অন্যমনস্ক হবেন। স্ট্রেস বা অ্যাংজ়াইটি বা আপনার ক্ষেত্রে যেটি ট্রিগার হিসেবে কাজ করে, তা বাড়লেই হাতের মুঠোয় ভরে নিন স্ট্রেস বল।


রাতারাতি কিন্তু ফল পাবেন না: যে কোনও অ্যাডিকশন বা নেশা তাড়াতে খানিকটা সময় লাগে, রাতারাতি ফল পাওয়ার আশা করবেন না, না পেলে হতাশও হয়ে পড়ার কারণ নেই। ধীরে ধীরে সচেনভাবে অভ্যেসটা ছাড়ার চেষ্টা করুন। যাঁদের সন্তান আছে, তাঁরা খেয়াল রাখবেন, শিশু কিন্তু মা-বাবাকে দেখেই অনেক কিছু শেখে। আপনার এই কুঅভ্যেসটি সন্তানের মঙ্গলের জন্যই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ছাড়া উচিত।

No comments: