Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

আপনি কি সব ভালো অভ্যেস মেনে চললেই সুস্থ থাকবেন

 




হাই হিল পরা একেবারে বন্ধ করে দিয়েছেন, কাজের চাপ যাই হোক না কেন, রোজ ব্যায়াম করছেন নিয়ম করে, চিনি খাওয়াও একেবারেই বন্ধ... কী ভাবছেন? এতদিনে জীবনটাকে স্ট্রিমলাইন করা গিয়েছে এবং আপনার সুস্থ থাকা কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না? এটা ঠিক যে ভালো অভ্যেসের কোনও বিকল্প নেই, কিন্তু মাঝে-মধ্যে অনিয়ম করলে কি সত্যিই খুব ক্ষতি হয়ে যায়? জেনে নিন সত্যিটা৷


হিল পরবেন, না পরবেন না?

এ কথা ঠিক যে হাই হিল পরে দীর্ঘ সময় থাকলে পশ্চারে নানা সমস্যা হয়, বাড়ে কোমরে আর হাঁটুতে ব্যথার সমস্যা৷ কিন্তু যাঁরা সর্বক্ষণ স্লিপার, ব্রোগ বা মোকাসিন পরে থাকেন, তাঁদের অ্যাকিলিস ট্যান্ডন আর কাফ মাসলে বাড়তি চাপ পড়ে, তা থেকেও পায়ে ব্যথা হতে পারে৷ ফ্ল্যাট জুতোয় পায়ের আর্চ সাপোর্ট করার সুবিধে থাকে না৷ স্লিপার বা ফ্লিপ-ফ্লপে স্ট্র্যাপ থাকে না বলে পায়ে ফোসকা বা কড়া পড়ার আশঙ্কা বাড়ে৷ তাই ফ্ল্যাট জুতো কেনার সময় বাড়তি সতর্ক থাকুন, এমন জুতো কিনুন যার বেসে কুশন আছে৷ তাতে আপনার পায়ের আর্চ ভালো সাপোর্ট পাবে৷ মাঝে-মধ্যে হিল পরুন৷ স্নিকার্সও চলতে পারে৷ আর জুতো কেনার ব্যাপারে কখনও কার্পণ্য করবেন না, ভালো ব্র্যান্ডের জুতো পরলে বেশিদিন সুস্থ থাকবেন৷


প্রত্যেকদিন ব্যায়াম করা কি মাস্ট?

অনেকেই আছেন, যাঁরা শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা-অফিসে খুব চাপ-রাতে ভালো ঘুম না হওয়া ইত্যাদি কোনও বাধাকেই পাত্তা না দিয়ে প্রতিদিন ব্যায়াম করেন৷ একটা কথা মনে রাখবেন, আমাদের শরীর কিন্তু যথেষ্ট বুদ্ধিমান৷ যেই সে বুঝতে পারবে যে সে ক্লান্ত থাকলেও আপনি তাকে খাটতে বাধ্য করবেন, সেই মুহূর্তে আপনার কড়া ডায়েটিংয়ের মধ্যে থেকেও বাড়তি ক্যালোরি চুরি করে সে ফ্যাট হিসেবে সঞ্চয় করে রাখবে আরও দুর্দিনে খরচ করার জন্য৷ তাই অতিরিক্ত অত্যাচার করলে ওজন তো কমবেই না, উলটে আরও বেড়েও যেতে পারে! তার চেয়ে সঠিক খাবার খান, শরীরকে যথেষ্ট বিশ্রাম দিন৷ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে সঠিক ব্যায়াম করুন৷ সেটাই বেশি জরুরি৷


চিনি বাদ দেওয়া কি একান্ত জরুরি?

ধরুন আপনি দিনে আট কাপ চা খান, প্রতিটিতে দু’ চামচ করে চিনি থাকে৷ তা হলে প্রতিদিন আপনার শরীরে 16 চামচ চিনি স্রেফ চায়ের কারণে যাচ্ছে, তার পর ইতি-উতি ফ্রাই, কেক-পেস্ট্রি, মিষ্টি খাওয়া তো আছেই৷ এবার রাতারাতি চিনি বাদ দিয়ে যদি আপনি আর্টিফিশিয়াল সুইটনার ব্যবহার করতে আরম্ভ করেন, তাতে খুব একটা সুবিধে হবে না, কারণ সে ক্ষেত্রেও আপনার শরীরে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি কেমিক্যাল যাবে৷ তার ফলে আবার অন্য নানা সমস্যা দেখা দেবে৷ অল্পস্বল্প চিনিতে তেমন ক্ষতি হয় না, মধু বা স্টিভিয়ার মতো প্রাকৃতিক মিষ্টবস্তুও খেতে পারেন৷ খেজুর, কিশমিশের মতো শুকনো ফলেও মিষ্টিভাব থাকে, মাঝেমধ্যে সেটাও চলতে পারে৷ কিন্তু অতিরিক্ত চিনি আর আর্টিফিশিয়াল সুইটনার দুটোই সমান ক্ষতিকর৷


কয়েকটি ভালো অভ্যাস:


হেডফোন ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা প্রয়োজন: 

সারাদিন হেডফোনে খুব জোরে গান বা কোনও মিউজ়িক শোনার অভ্যেস আছে? সেটা বদলানোর চেষ্টা করুন৷ দীর্ঘক্ষণ ফুল ভলিউমে মিউজ়িক শোনার ফলে আপনার কানের পাকাপাকি ক্ষতি হয়ে যেতে পারে৷ বিশেষ করে যদি আপনার অন্যের সঙ্গে হেডফোন শেয়ার করার অভ্যেস থাকে, তা হলে তা পরিষ্কার করাও দরকার৷ হেডফোন আলাদা একটা ব্যাগ বা কেসের মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন, তাতে বাইরের ধুলো-ময়লা লাগবে না তাতে৷ কানের খুব গভীরে ঢুকে যায়, এমন হেডফোন ব্যবহার করবেন না৷

স্ন্যাক্স খাওয়া বন্ধ করবেন না:

তাতে মনঃসংযোগ করতে অসুবিধে হবে৷ হাতের কাছে রাখুন বাদাম, শুকনো ফলের মতো স্বাস্থ্যকর অপশন৷

বিছানার চাদর কাচুন নিয়মিত: 

সপ্তাহে অন্তত একবার বিছানার চাদর ও বালিশের ঢাকনা কাচা উচিত৷ আর গদি-তোষক পালটান আট বছরে একবার৷ ত্বকের মরা কোষ, শরীরের ফ্লুইড, ডাস্ট মাইট, নানা ধরনের অ্যালার্জেন বাসা বাঁধে বিছানায়৷ সেটা বছরের পর বছর ব্যবহার না করাই ভালো৷

No comments: