Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

জেনে নিন ডাল-ভাত খাওয়া কি শরীরের পক্ষে ভালো

 



সব ডায়েটিশিয়ানই একবাক্যে স্বীকার করে নেন যে রাতের খাওয়াটা যথাসম্ভব হালকা হওয়াই বাঞ্ছনীয়, তাতে শরীর ভালো থাকে৷ কিন্তু রাতে ভাত খাবেন না রুটি, তা নিয়ে অনেকের মনেই দ্বিধা আছে৷ বিশেষ করে যাঁরা বাড়তি ওজনের বোঝা থেকে মুক্তি পেতে চান, ভাত থেকে তাঁরা শতহস্ত দূরে থাকতেই পছন্দ করেন৷ রাতের বেলা বড়োজোর স্যুপ, স্যালাড ছাড়া অন্য কিছু মুখে তুলতে গেলেই তাঁরা আশঙ্কিত হয়ে পড়েন৷ কিন্তু সেলেব্রিটি ডায়েটিশিয়ান রুজুতা দিওয়েকরের মতে, রাতের বেলা ডাল-ভাতের কোনও বিকল্প হয় না, বিশেষ করে ভারতীয়দের ক্ষেত্রে৷ কেন? খুব সাধারণ কতগুলি কারণ দর্শেছেন তিনি৷


প্রথমত, ভারতীয়রা বহু বছর ধরে ডাল-ভাত খেতে অভ্যস্ত৷ দু’টিই এ দেশের জল-হাওয়ায় স্বাভাবিকভাবে ফলে৷ আর স্থানীয় খাবার কখনও শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলে না৷ তাই যাঁরা ওজন কমাতে চান বা চিত্রতারকাদের মতো পোস্ট প্রেগন্যান্সি ফ্যাটের হাত থেকে যত শিগগির সম্ভব মুক্তি পেতে চান, তাঁদের জন্যও ডাল-ভাত আদর্শ৷ সঙ্গে বাড়িতে তৈরি আচার-চাটনিও পরিমিত পরিমাণে সেবন করতে পারেন৷ রুজুতার বক্তব্য হচ্ছে, তাঁর সেলেব্রিটি ক্লায়েন্ট করিনা কাপুরও রাতে ডাল-ভাত খেয়েই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখেন৷


চালকে কেবল কার্বোহাইড্রেট ভেবে দূরে সরিয়ে রাখবেন না৷ কার্বোহাইড্রেটের পাশাপাশি চালের অ্যামিনো অ্যাসিড, ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট ও ভিটামিন আমাদের শরীরের পুষ্টির জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়৷ বিশেষ করে রাতের বেলা ভাত খেলে শরীর শান্ত থাকবে, ভালো ঘুম হবে৷ ফলে পরদিন আপনি যখন ঘুম থেকে উঠবেন, তখন পূর্ণ উদ্যমে দৈনিক কাজকর্ম সারতে কোনও অসুবিধে হবে না৷


রুজুতা বারবার বলেন, ওজন কমানোর চেষ্টা করতে গিয়ে না ভেবে-চিন্তে বিদেশি খাবার খাওয়ার বদভ্যেস গড়ে তুলবেন না৷ সুস্থ থাকার জন্য অ্যাভোকাডো, গোজি বেরি, ওটস, ব্লুবেরি, ভেজিটেবিল স্যুপ কোনওটারই আমাদের প্রয়োজন নেই৷ তার চেয়ে মা-ঠাকুমাদের পরামর্শ শুনুন, সাধারণ ভারতীয় খাবার খান এবং সুস্থ থাকুন৷ সুস্থ থাকলে ওজন আপনিই কমে যাবে৷

No comments: