গিলের নেতৃত্বে ৫৮ বছর পর ঐতিহাসিক জয় ভারতের, শোচনীয় পরাজয় ইংল্যান্ডের
০৬ জুলাই ২০২৫: ভারত দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে ৩৩৬ রানে হারিয়েছে। এরই সাথে টিম ইন্ডিয়া সিরিজ ১-১ ব্যবধানে সমতা এনেছে। বার্মিংহামে খেলা এই ম্যাচে টিম ইন্ডিয়া ইংল্যান্ড দলের জন্য ৬০৮ রানের বিশাল লক্ষ্য রেখেছিল। জবাবে, ইংলিশ দল মাত্র ২৭১ রান করতে পারে। ভারতের এই জয়ে অধিনায়ক শুভমান গিল ছাড়াও মোহাম্মদ সিরাজ এবং আকাশদীপ বড় অবদান রেখেছেন।
বার্মিংহামের এজবাস্টন মাঠ টেস্ট ভারতের জন্য দুঃস্বপ্নের চেয়ে কম ছিল না। টিম ইন্ডিয়া ১৯৬৭ সালে এখানে প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলেছিল, কিন্তু এখন পর্যন্ত এজবাস্টনে জিততে পারেনি। কপিল দেব, বিরাট কোহলি এবং এমএস ধোনির মতো কিংবদন্তিরাও তাঁদের অধিনায়কত্বে এই মাঠে ভারতকে জয়ী করতে পারেননি। অবশেষে শুভমান গিল তাঁর অধিনায়কত্বে ৫৮ বছরের দীর্ঘ পরাজয়ের ধারার অবসান ঘটিয়েছেন।
ইংল্যান্ড টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছিল। ভারতীয় দল প্রথমে ব্যাট করে ৫৮৭ রান করে, অধিনায়ক শুভমান গিলের ২৬৯ রানের ওপর ভিত্তি করে। প্রথম ইনিংসে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে যশস্বী জয়সওয়াল ৮৭ এবং রবীন্দ্র জাদেজা ৮৯ রান করেন। জবাবে হ্যারি ব্রুক ১৫৮ রান করেন এবং জেমি স্মিথ ১৮৪ রান করেন, কিন্তু তাঁদের ছাড়া অন্য কোনও ব্যাটসম্যান বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ফলস্বরূপ, ইংল্যান্ডের দল ৪০৭ রানে অলআউট হয়ে যায়। প্রথম ইনিংসেই ভারত ১৮০ রানের বিশাল লিড পেয়েছিল।
ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হওয়ার আগেই ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা দ্রুত স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যান। দ্বিতীয় ইনিংসেও অধিনায়ক গিল ১৬১ রান করেন, যার ফলে পুরো ম্যাচে তাঁর মোট রান ৪৩০ রানে পৌঁছে যায়। গিল বিশ্বের পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে এক টেস্ট ম্যাচে ৪০০-এর বেশি রান করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে কেএল রাহুল (৫৫), ঋষভ পন্থ (৬৫) এবং রবীন্দ্র জাদেজা (৬৯) এই তিন ব্যাটসম্যানই অর্ধশতক করেন। ভারত ৪২৭ রানে তাঁদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে।
চতুর্থ ইনিংসে ইংল্যান্ডের সামনে ৬০৮ রানের লক্ষ্য ছিল। লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ইংল্যান্ডের অর্ধেক দল ৮৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যায়। পঞ্চম দিনে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা যখন মাঠে নামেন, তখন প্রথম ঘন্টাতেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ইংল্যান্ড দল ড্রয়ের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করছে। বেন স্টোকস এবং জেমি স্মিথ দীর্ঘ সময় ধরে ভারতকে জয় থেকে দূরে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সফল হননি। স্টোকস আউট হওয়ার পর, ইংল্যান্ড নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে।
কোন মন্তব্য নেই: