Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

জেনে নিন, মাসিকের ক্র্যাম্প দূর করার সহজ পদ্ধতি


প্রদীপ ভট্টাচার্য
, ৬ই জুন, কোলকাতা: প্রায় প্রতিটি মহিলাই প্রতি মাসে পিরিয়ড ক্র্যাম্পের ব্যথার মধ্য দিয়ে যায়। কোনো কোনো নারীর এতে বেশি ব্যথা হয় আবার কোনো কোনো নারীর ব্যথা কম হয়। যার কারণে তারা সারাদিন ক্লান্ত ও দুর্বল বোধ করে। একটি ভাল রাতের ঘুম এই মুহূর্তে মহিলাদের জন্য একটি স্বপ্ন। এর একটি বড় কারণ আমাদের অনেক অভ্যাস, যা পিরিয়ডের সময় ব্যথা বাড়িয়ে দেয়। প্রথম দুই দিনে ব্যথা এতটাই বেড়ে যায় যে ছোটখাটো কাজও করা যায় না। এর কারণ চিহ্নিত করে চিকিৎসা করা প্রয়োজন। কারণ আপনি প্রতি মাসে ৫-৮ দিন বসে থাকতে পারবেন না। আপনি যদি অতিরিক্ত ব্যথায় অস্থির হয়ে থাকেন, তাহলে কিছু সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করে এই ব্যথা কমাতে পারেন।


সময়মতো ঘুম ও ঘুম থেকে ওঠা


পিরিয়ডের সময় মহিলাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল ঠিকমতো ঘুম না হওয়া, পিঠের নিচের অংশে ব্যথা এবং উরুতে ব্যথা হওয়া।  আপনি আপনার দৈনন্দিন রুটিন উন্নত করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।  এ জন্য আপনার ঘুম ও জাগার সময় ঠিক করতে হবে। আসুন আমরা আপনাকে বলি যে সময়মতো ঘুমানো এবং ঘুম থেকে উঠলে পিরিয়ডের ব্যথা কমে যায়।     


ধ্যান বা ব্যায়াম


মাসিকের সময় ধ্যান বা ব্যায়াম ব্যথা উপশম করতে এবং মেজাজ উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। অবশ্যই, এই সময়ে হালকা ব্যায়াম বাঞ্ছনীয়। এ সময় হাঁটা, স্ট্রেচিং, অ্যারোবিক্স, ওজন না তুলে ব্যায়াম করা বেশি উপকারী।


হালকা গরম জল দিয়ে স্নান করুন:


পিরিয়ডের সময় হালকা গরম জল দিয়ে চান করলে অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এতে করে পেট ও কোমরের ব্যথার পাশাপাশি শরীরের ব্যথাও উপশম হবে। এটি আপনাকে অনিয়মিত পিরিয়ড থেকে মুক্তি পেতেও সাহায্য করবে।এর সাহায্যে হালকা হাতে ব্যথাযুক্ত স্থানে ম্যাসাজ করুন।


বেডরুম ঠান্ডা রাখুন:


আপনি যদি আপনার পিরিয়ডের সময় ভাল ঘুমাতে চান তবে আপনার বেডরুম ঠান্ডা রাখতে হবে। এতে করে আপনার শরীরের তাপমাত্রা কমে যায় এবং ভালো ঘুম হয়। হরমোনের ওঠানামা এই প্রক্রিয়ার সাথে হস্তক্ষেপ করতে পারে। এই ক্ষেত্রে, আপনার থার্মোস্ট্যাটকে ৬০ এবং ৬৭ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মধ্যে সেট করার চেষ্টা করুন।


গরম জল দিয়ে ম্যাসেজ করুন:


যদি কোনও ব্যক্তি মাসিকের ব্যথায় ভুগে থাকেন তবে পিঠের নীচে এবং কুঁচকিতে গরম জলের মালিশ করা যেতে পারে। এর জন্য হিটিং প্যাড বা গরম জলের বোতলের সাহায্য নিতে পারেন।এটি করলে, আপনি কেবল ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন না, অনিয়মিত পিরিয়ড থেকেও মুক্তি পাবেন।


আদা এবং গোলমরিচ চা পান করুন:


পিরিয়ডের সময় ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং পেশীর টান ধরা সাধারণ ব্যাপার। এ থেকে মুক্তি পেতে দুধ ছাড়া আদা ও কালো মরিচের চা খেতে পারেন। এছাড়াও, আপনি জিরা, হলুদ এবং মধুর একটি ক্বাথও পান করতে পারেন।


ক্যাফিন কমিয়ে দিন:


আপনার পিরিয়ডের সময় ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন, বিশেষ করে ঘুমানোর ছয় ঘণ্টার মধ্যে। ক্যাফিন একটি উদ্দীপক, যা আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য জাগ্রত রাখতে পারে। ক্যাফিনের অন্যান্য উৎসের মধ্যে রয়েছে চা, চকোলেট, কোক, কোমল পানীয় এবং ব্যথা উপশমকারী ওষুধ।

No comments: