শরীরে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এই টিপস্ অনুসরণ করুন
প্রদীপ ভট্টাচার্য, ৫ই মে, কোলকাতা : আমাদের জীবনে চিনির ব্যপকতা বলে বুঝানো যাবে না। চিনি খুব দ্রুত আমাদের শরীরে শক্তি জোগায়, রক্তের নিম্নচাপকে স্বাভাবিক হতে সাহায্য করে, ত্বকের উপকারে আসে, শরীরের কোথাও কেটে গেলে ঠিক করে। যদি আপনি মানসিক বিষন্নতায় ভুগে থাকেন, তাও দূর করবে চিনি। তাছাড়া ত্বকের মরা কোষ দূর করা, হাতের দূর্গন্ধ, ব্লেন্ডারের দাগ দূর করা, বিস্কুট মচমচে রাখা এসব ব্যাপারে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভূমিকা থাকে চিনির। চিনির এত মহামতি গুনাবলি থাকলেও, রয়েছে এর কিছু ক্ষতিকর দিক। আমাদের খাবারের পাশাপাশি শরীরে যে চিনি যায় তা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে ওজন বৃদ্ধি, স্থূলতা, সুগার, হৃদরোগের সম্ভাবনা থাকে। মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে অনেক রোগের সম্ভাবনা থাকে। এর মধ্যে শারীরিক অসুস্থতার পাশাপাশি মানসিক রোগও রয়েছে।অতিরিক্ত চিনি খেলে চর্মরোগ হতে পারে। এই গুরুতর অবস্থা এড়াতে, চিনি খাওয়া কমাতে প্রয়োজন।
প্রথম ধাপ
ফল, শাকসবজি এবং জৈব খাবারে চিনির প্রাকৃতিক রূপ শরীর সহজেই হজম হয়।জাঙ্ক ফুড খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। এসব খাবারের পরিবর্তে তাজা ফল, শাকসবজি, ডাল খেলে চিনির পরিমাণ কমানো যায়। চিনির পরিবর্তে মধু এবং গুড়ের মত বিকল্প ব্যবহার করা উচিত।
দ্বিতীয় সমাধান
সোডা, এনার্জি ড্রিংকস বা কোল্ড ড্রিংকসের চিনি হজম করা কঠিন। তাদের সেবন রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। এর পরিবর্তে দুধ এবং গ্রিন টি পান করা স্বাস্থ্যকর। ঠান্ডা পানীয়ের মতো প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে শরীরে চিনির পরিমাণ বেড়ে যায়। এ ছাড়া শরীরের আরও অনেক ধরনের ক্ষতি হয়।
No comments: