সুস্থ থাকতে প্রতিদিন ভালো ঘুমের প্রয়োজন

সুস্থ থাকার জন্য দৈনিক ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ভালো ঘুম খুবই জরুরি। পর্যাপ্ত ঘুম আপনাকে সারাদিন এনার্জী বোধ করে। ঘুমের অভাব শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। কম ঘুমালে মারাত্মক রোগের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়। দীর্ঘ সময় ধরে ঘুমের অবহেলা মারাত্মক হতে পারে। ঘুমকে সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।

ঘুম মানুষের মৌলিক চাহিদা। প্রতিদিন খাওয়া, পান করা এবং শ্বাস নেওয়া যেমন গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক তেমনি সুস্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য প্রতিদিন ঘুমানোও জরুরি। পরিসংখ্যান অনুসারে, আমেরিকার প্রায় ৩৩% প্রাপ্তবয়স্করা প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম পায় না। একটি হিসাব অনুযায়ী, আমেরিকায় প্রায় ৫ থেকে ৭ মিলিয়ন মানুষ ঘুম সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছেন। ঘুমের অভাবে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। এতে অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়। যার কারণে অনেক মারাত্মক রোগের আশঙ্কাও দেখা দেয়।

কম ঘুমালে এই ৭টি রোগ হতে পারে

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘুমের অভাব হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ঘুমের অভাব হৃদরোগের বিরূপ প্রভাব ফেলে এবং দীর্ঘক্ষণ ঘুমের অভাব হৃদরোগের কারণ হতে পারে।

আপনি জেনে অবাক হবেন যে ঘুমের অভাব কিডনির উপরও প্রভাব ফেলে। এটি কিডনির কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে। কিডনি সুস্থ রাখতে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।

প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ার কারণে মানুষের উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। রক্তচাপ ঠিক রাখার জন্য ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। উচ্চ রক্তচাপ হৃৎপিণ্ডের ধমনীর ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ায়।

ঘুমের সমস্যা থেকে স্থূলতা এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগ হতে পারে। স্থূলতা অনেক রোগের জন্য দায়ী। আপনি যদি ডায়াবেটিক রোগী হয়ে থাকেন তাহলে ঘুমের ক্ষেত্রে একেবারেই আপস করবেন না, তা না হলে পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

ঘুম এবং মানসিক স্বাস্থ্যের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। ঘুমের অভাবে মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, বিষণ্নতা সহ অনেক মানসিক রোগ হতে পারে। শুধু তাই নয়, এটি স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়।অনেকের স্নায়বিক ব্যাধির সমস্যাও হতে পারে।

প্র ভ