Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

শরীরে প্রোটিনের ঘাটতির লক্ষণ বোঝার কিছু উপায়



প্রোটিনের ঘাটতির লক্ষণ ও উপসর্গ: প্রোটিন শরীরে তৈরি করা যায় না। শরীরের প্রায় প্রতিটি অঙ্গ প্রোটিন দ্বারা গঠিত। পেশী, হাড়, ত্বক এবং চুল সহ সমস্ত ধরণের কোষে প্রোটিন উপস্থিত থাকে। প্রোটিন নিজেই হিমোগ্লোবিন তৈরি করে যা শরীরের প্রতিটি অংশে অক্সিজেন বহন করে। প্রোটিনের কারণে শরীরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। এ ছাড়া প্রোটিন থেকে অনেক এনজাইম ও হরমোন তৈরি হয়। জীবন চালানোর জন্য শরীরে ১০ হাজার ধরনের প্রোটিন থাকে। এত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি কতটা ভারী হতে পারে তা বোঝা যায়। প্রতিদিন আমাদের ৬০ গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন। প্রোটিনের ঘাটতি হলে আমাদের শরীরে নানা ধরনের সমস্যা শুরু হয় এবং আমরা অপুষ্টির শিকার হই।

প্রতিদিন আমাদের খাবারে অন্তত ১০ শতাংশ প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত। কিন্তু ভারতের মানুষ খুব কম প্রোটিন খান। এই কারণেই এখানকার বেশিরভাগ মানুষের প্রোটিনের অভাব রয়েছে। প্রোটিনের অভাবে অপুষ্টিজনিত মারাত্মক রোগ কোয়াশিওরকর হতে পারে এবং এর কারণে একজন ব্যক্তি বারবার অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।

• প্রোটিনের অভাবজনিত রোগ
প্রোটিনের অভাবের চিকিৎসা না হলে বা খাদ্যাভ্যাসের উন্নতি না হলে রোগীর মৃত্যু হতে পারে। প্রোটিনের ঘাটতি অনেক রোগের কারণ। প্রোটিনের অভাবে কোয়াশিওরকর, মারাসমাস, মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রোগ, এডিমা ইত্যাদি রোগ হতে পারে।

 প্রোটিনের ঘাটতির লক্ষণ

১. ফোলা- WebMD-এর খবর অনুযায়ী, প্রোটিনের ঘাটতি বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছলে পেট, পা, থাবা বা হাতে ফোলা শুরু হয়। এই রোগকে এডিমা বলা হয়। প্রোটিন নিজেই শরীরে রক্ত ​​চলাচল সচল রাখে। প্রোটিনের ঘাটতি হলে রক্তের পরিবর্তে অন্যান্য তরল সেখানে পৌঁছায়। এই কারণেই সেখানে ফোলা শুরু হয়।

২. মেজাজের পরিবর্তন- আমাদের মস্তিষ্ক নিউরোট্রান্সমিটার রাসায়নিক ব্যবহার করে কোষে তথ্য প্রেরণ করে। নিউরোমিটার অ্যামিনো অ্যাসিড দিয়ে তৈরি যা প্রোটিনের বিল্ডিং ব্লক। তাই প্রোটিনের ঘাটতি হলে নিউরো মিটার ঠিকমতো কাজ করবে না এবং মস্তিষ্কের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান হবে না। এর কারণে মেজাজে পরিবর্তন আসবে, বিরক্তি আসবে। এ কারণে মস্তিষ্কে ডোপামিন ও সেরোটোনিন হরমোনও কম থাকবে।

৩. চুল, নখ এবং ত্বকের সমস্যা- চুল হোক বা নখ বা ত্বক, এগুলো সবই ইলাস্টিন, কোলাজেন এবং কেরাটিন দিয়ে তৈরি। এই তিনটি জিনিসই প্রোটিন। অর্থাৎ প্রোটিনের ঘাটতি হলে চুল পাতলা হয়ে পড়তে শুরু করবে। নখ মাঝখান থেকে ভাঙ্গা এবং বিভক্ত হতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে ত্বক নিস্তেজ, শুষ্ক ও হলুদ হতে শুরু করবে।

৪. দুর্বলতা এবং ক্লান্তি- শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণ না করলে পেশী দুর্বল হয়ে পড়ে। এ কারণে শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সমস্যা হয়। বয়স্কদের মধ্যে প্রোটিনের ঘাটতি হলে হাঁটতে সমস্যা হয়। প্রোটিনের অভাবে মেটাবলিজমও ধীর হয়ে যায়। এর ফলে রক্তাল্পতা হতে পারে। অর্থাৎ শরীর কম অক্সিজেন পায়। এসব কারণে শরীরে প্রচণ্ড ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভূত হয়।

No comments: