Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

প্রতিদিন এটি খান রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে


এমন অনেক খাবার রয়েছে, যেগুলো খেলে শরীর ভেতর থেকে গরম থাকে। সেই খাবারগুলোর মধ্যে গুড় অন্যতম। চিনির চেয়ে গুড় খাওয়া বেশি উপকারী। এছাড়াও গুড়ের মধ্যে রয়েছে অনেক পুষ্টি উপাদান, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। গুড় একটি প্রাকৃতিক মিষ্টি হিসাবে কাজ করে, তাই এটি পরিশোধিত চিনির চেয়ে বেশি স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করতে পারে। সোনালি বাদামী থেকে গাঢ় বাদামী গুড়, অনেক ধরনের ও রঙের গুড়ও বাজারে পাওয়া যায়। চলুন জেনে নিই গুড় খাওয়ার সাথে সাথে গুড়ের পুষ্টিগুণ কি কি।


গুড়ের পুষ্টিগুণ:

গুড়ের মধ্যে রয়েছে ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, পটাসিয়াম, জিঙ্ক, ফসফরাস, কপার, আয়রন, প্ল্যান্ট প্রোটিন, ভিটামিনের মতো অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান। থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ফাইটোকেমিক্যালস, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।


শীতে গুড় খাওয়ার উপকারিতা:


রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে- শীতে সুস্থ থাকতে চাইলে অবশ্যই গুড় খান। কারণ গুড় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আরও অনেক পুষ্টি উপাদান, যা শরীরকে সুস্থ রাখে।


শরীরকে ডিটক্স করে- শীতকালে মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত নানা সমস্যা হয়। গুড় খেলে ফুসফুস সুস্থ থাকে। এছাড়াও শ্বাসযন্ত্র, পাকস্থলী, অন্ত্র এবং খাদ্য নল পরিষ্কার করে শরীরকে ডিটক্স করে। রক্তও বিশুদ্ধ করে।


হাঁপানি রোগীদের জন্য উপকারী- নিয়মিত খাদ্যতালিকায় এটি অন্তর্ভুক্ত করলে হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস ইত্যাদির লক্ষণ দেখা দেয় না। তিল ও গুড়ের তৈরি জিনিস খেলে শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধ করা যায়।


ঠাণ্ডা ও সর্দি থেকে রক্ষা করে- গুড়ের এমন কিছু প্রাকৃতিক গুণ রয়েছে, যা আপনাকে ঠান্ডা আবহাওয়ায় কাশি ও সর্দি থেকে রক্ষা করতে পারে। এতে গলায় আরাম পাওয়া যায়। খিটখিটে ভাব কমায়। গরম জল বা চায়ের সাথে কাঁচা গুড় মিশিয়ে খেলেও ঠাণ্ডা ও ফ্লু থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি মাইগ্রেন এবং মাথাব্যথা নিরাময়ের জন্যও উপকারী।


শীতে শরীর গরম রাখে- শীতকালে গুড় খাওয়া শরীরকে ভেতর থেকে গরম রাখতে সাহায্য করে। তাৎক্ষণিক শক্তি পাওয়ার জন্য গুড় একটি ভাল উপায়। খেজুরের গুড় শরীরে সর্বোচ্চ তাপ দেয়।


রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুড় খাওয়া উচিৎ। এতে রয়েছে সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম, যা রক্তচাপ ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে- গুড়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে আয়রন এবং ফোলেট থাকে। এর ব্যবহার হিমোগ্লোবিন এবং রক্তের গঠনকে উৎসাহিত করে। যদি কারো রক্তশূন্যতার সমস্যা থাকে তবে গুড় খেলে এই রক্তের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কাও কমে।


জয়েন্টের ব্যথা কমায়- শীতকালে জয়েন্টে ব্যথা হলে প্রতিদিন গুড় খান। বাত প্রতিরোধ ও হাড় মজবুত করতে এক গ্লাস দুধে গুড় মিশিয়ে পান করতে পারেন।

প্র ভ

No comments: