দই, ইয়োগার্ট এবং প্রোবায়োটিক ইয়োগার্টের মধ্যে পার্থক্য গুলি জেনে নিন

 

শেফ কুনাল কাপুর শেয়ার করলেনএকটি আকর্ষণীয় তথ্যপূর্ণ ভিডিও। 

অনেকে দইকে ইয়োগার্ট বা অন্য কিছু বলে ভুল করে। কেউ কেউ দইয়ের অন্য নাম হিসেবে প্রোবায়োটিকের কথাও বিবেচনা করেন। তারপর আবার, কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে ইয়োগার্ট দইয়ের চেয়ে ঘন, এবং এটিই একমাত্র পার্থক্য।

দই, ইয়োগার্ট এবং প্রোবায়োটিক- এই তিনটির মধ্যে পার্থক্য করতে আপনাকে সাহায্য করার জন্য শেফ কুনাল কাপুর সম্প্রতি একটি আকর্ষণীয় ভিডিও শেয়ার করেছেন, যেখানে তিনি এটি সবার জন্য সহজভাবে বুঝিয়েছেন। এই তিনটিই মানুষকে হজমে সাহায্য করে।

* দই বানাতে প্রথমে দুধ ফুটিয়ে ৩০-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ঠান্ডা হতে দিন এবং তারপর এক চামচ দই যোগ করুন। এখন, দইতে "ল্যাকটোব্যাসিলাস" নামক ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়া থাকার কারণে দুধে ব্যাকটেরিয়া কয়েক ঘন্টার মধ্যে সংখ্যাবৃদ্ধি করে এবং দুধকে গাঁজিয়ে দই তৈরি করে। যখন দইয়ে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া আমাদের অন্ত্রের মধ্যে জীবন্ত পৌঁছায়, তখন এটি আমাদের স্বাস্থ্যগত সুবিধা দেয়। যাইহোক

দই এবং এর জীবাণু শক্তি ঘরে ঘরে পৌঁছে যায় এবং সক্রিয় অন্ত্রের কাছে পৌঁছতে পারে বা নাও পারে।

ইয়োগার্টও একইভাবে তৈরি করা হয়, কিন্তু এখানে ল্যাকটোব্যাসিলাস বুলগেরিস এবং স্ট্রেপটোকক্কাস থার্মোফিলাস নামক ব্যাকটেরিয়ার আরও দুটি প্রজাতি যোগ করে দুধকে গাঁজানো হয়। এই দুটি ব্যাকটেরিয়ার সংযোজন ইয়োগার্টের ব্যাকটেরিয়ার মান এবং সঠিক পরিমাণ উভয়ই নিশ্চিত করে। এগুলি বিজ্ঞানীদের দ্বারা তাদের ল্যাবে উৎপন্ন ভালো ব্যাকটেরিয়া যা নিশ্চিত করে যে, তারা জীবন্ত অন্ত্রের কাছে পৌঁছোয় এবং হজমের সুবিধা করে দেয়।

একটি পণ্যকে প্রোবায়োটিক তখনই বলা হয় যখন এতে জীবিত ব্যাকটেরিয়ার একটি নির্দিষ্ট স্ট্রেন থাকে। গ্যাস্ট্রিক, অ্যাসিড, পিত্ত এবং অগ্ন্যাশয়ের রস প্রতিরোধী জীবন্ত ব্যাকটেরিয়া দিয়ে প্রোবায়োটিক ইয়োগার্ট তৈরি করা হয়। এটি জীবন্ত অন্ত্রের মধ্যে পৌঁছোয় এবং নির্দিষ্ট পরিমাণে গ্রহণ করলে এটি স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করে।