অনেক রোগের থেকে মুক্তি পেতে কারি পাতা খান
আবহাওয়ার পরিবর্তন আমাদের স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসের সামান্য পরিবর্তন করে আমরা সুস্থ জীবনযাপন করতে পারি। এই অর্থে, খাদ্যাভ্যাস আমাদের সুস্থ জীবনেও গভীর প্রভাব ফেলে। আমরা যদি খাবার এবং পানীয় সম্পর্কে কথা বলি, তাহলে কারি পাতাকে একেবারেই উপেক্ষা করা যাবে না। আজ আমরা আমাদের স্বাস্থ্য টিপসে কারি পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানাবো।
নিম পাতার মতো দেখতে কারি পাতায় আশ্চর্যজনক ঔষধি গুণ পাওয়া যায়। এটি দেখতে শুধু নিমের মতোই নয়, এতে নিমের মতো বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। প্রথমেই জেনে নিন কারি পাতা শুধু খাবারকে সুস্বাদু করতেই ব্যবহার করা হয় না। বরং এটি আমাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অনেক সমস্যাকে মূল থেকে দূর করতেও সহায়ক।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়: ঘরেই কারি পাতার চাটনি তৈরি করতে পারেন। এই সুস্বাদু চাটনি ভাত বা রুটির সাথে আরামে খাওয়া যায়। সুস্বাদু হওয়া ছাড়াও, এটি আমাদের শরীরে ইনসুলিনের কার্যকলাপকে প্রভাবিত করে এবং এটি রক্তে উপস্থিত চিনির মাত্রা হ্রাস করে। যা বর্ধিত ডায়াবেটিস কমায়।
রক্তশূন্যতার ঝুঁকি কমাতে সহায়ক: কারি পাতা মিষ্টি নিম নামেও পরিচিত। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ফলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়। এ কারণে এটি শরীরে রক্তশূন্যতার ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও এতে ভিটামিন এ এবং সি পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যের দিক থেকে খুবই উপকারী।
বমি প্রতিরোধে সহায়ক: কারি পাতার আরও একটি ঔষধি গুণ রয়েছে যা বমি বা বমি বমি ভাবের সমস্যা দূর করে। এই ভাজার জন্য কারি পাতা ঘি দিয়ে মেশানো হয়। তারপর ঠান্ডা হওয়ার পর চিবিয়ে নিন। এতে করে বমি বমি ভাবের সমস্যা দূর করা যায়।
চুল পড়া রোধে সহায়ক: আপনার চুল পড়া বন্ধ হলে কারি পাতা দিয়ে চুল পড়া বন্ধ করা যায়। কুসুম গরম পানিতে কারি পাতা মিশিয়ে হালকা হাতে চুলে মালিশ করলে চুল পড়ার সমস্যা কমে যায়। আর চুলের শক্তিও বাড়ে।
এছাড়াও নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করে: আপনি যদি নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধে কষ্ট পান তবে কারি পাতা আপনাকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। এর জন্য, আপনি তাজা কারি পাতা তুলুন এবং ধুয়ে ফেলুন, তারপর প্রায় পাঁচ মিনিট চিবিয়ে নিন, তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি করলে আপনার নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হতে পারে। আসলে, এটি মুখের মধ্যে লুকিয়ে থাকা জীবাণুকে মেরে ফেলে এবং এর সুগন্ধে আপনার মুখকে সতেজ অনুভব করে।
দ্রষ্টব্য: এই প্রতিকারগুলি করার আগে, একবার ডাক্তার বা ডায়েটিশিয়ানের সাথে পরামর্শ করুন।
প্র ভ
No comments: