মেথি বীজ কিভাবে ডায়াবেটিক রোগীদের উপকার করে থাকে?

একটি সুগন্ধযুক্ত ভেষজ, মেথি ঔষধ এবং রান্নার উদ্দেশ্যে উভয়ই ব্যবহৃত হয়। এটি তরকারি এবং অন্যান্য ভারতীয় খাবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। উদ্ভিদটি সাধারণত দক্ষিণ এশিয়া, উত্তর আফ্রিকা এবং ভূমধ্যসাগরের কিছু অঞ্চলে চাষ করা হয়।

তাদের পাতায় দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা মেথি বীজে প্রচুর পরিমাণে থাকে। এটি কার্বোহাইড্রেটের হজম এবং শোষণকে বিলম্বিত করে শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি বোঝায় যে তারা ডায়াবেটিসের চিকিৎসার জন্য ভাল কাজ করতে পারে।

মেথির সম্ভাব্য অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্যগুলি দেখার জন্য অনেক গবেষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে, অসংখ্য ক্লিনিকাল গবেষণায় দেখা গেছে যে মেথি বীজ টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের সাথে যুক্ত বেশিরভাগ বিপাকীয় লক্ষণগুলি উপশম করতে সহায়তা করে।

মেথির বীজে পাওয়া ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে রয়েছে এবং তারা শরীরের কোষের ক্ষতি করা থেকে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল প্রতিরোধে সহায়তা করে।

স্তন্যদানকারী মায়েরা গর্ভাবস্থায় এবং প্রসবের পরে উভয় ক্ষেত্রেই বুকের দুধ উৎপাদনকে উৎসাহিত করার জন্য বহু শতাব্দী ধরে এগুলি ব্যবহার করেছেন — এবং তারা এখনও করে থাকেন৷ এগুলি প্রায়শই সর্দি এবং গলা ব্যথার জন্য ভেষজ চিকিত্সা হিসাবে ব্যবহৃত হয়, কারণ তাদের শক্তিশালী অ্যান্টিভাইরাল প্রভাব রয়েছে।

উপরন্তু, গবেষণা অনুসারে, মেথি বীজ পুরুষ পুরুষত্বহীনতা, অন্যান্য ধরনের যৌন কর্মহীনতা, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল, ব্রঙ্কাইটিস, ফোড়া, চুল পড়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট খারাপ, কিডনির সমস্যা এবং ত্বকের সমস্যা (ক্ষত সহ , ফুসকুড়ি এবং ফোঁড়া)।

ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে অন্ত্রের গ্লুকোজ ঘনত্ব প্রায়শই বেশি থাকে এবং লবণ এবং গ্লুকোজ বহনকারী প্রোটিনের বৃদ্ধি হাইপারগ্লাইসেমিয়া বা উচ্চ রক্তে শর্করার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

মেথির উচ্চ ফাইবার সামগ্রী আপনাকে আরও সন্তুষ্ট বোধ করতে পারে এবং আপনার ক্ষুধা নিবারণ করতে পারে। যদিও সূত্রগুলি আবিষ্কার করেছে যে মেথির পরিপূরক গ্রহণের ফলে লোকেরা পূর্ণতা অনুভব করতে পারে, তবে এর কোনও প্রমাণ নেই যে এটি তাদের কম খাবার গ্রহণ করে।