এই ভুলগুলি শেভিংয়ের সময় এড়িয়ে চলুন
ওয়্যাক্সিং, থ্রেডিং, শেভিং - শরীরের অবাঞ্ছিত রোমের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার বেশ কিছু উপায়ের সঙ্গে আমরা পরিচিত। যাঁরা নিয়মিত হাত-পা রোমমুক্ত রাখেন, তাঁরা একমত হবেন, এই প্রক্রিয়াগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সুবিধেজনক হল শেভিং। তার একটাই কারণ, শেভিং করতে সময়টা লাগে কম। ভালোভাবে শেভিং ফোম বা সাবান লাগিয়ে রেজার চালালেই হল! নিমেষে মাখনের মতো মসৃণ হাত-পা রেডি!
উঁহু! একটু ভুল হল! শেভিং তো করছেন, কিন্তু ঠিকঠাক করছেন কি? কারণ রোম তোলা যতটা জরুরি, ঠিক ততটাই জরুরি নিজের ত্বককে রক্ষা করা। শেভিং করার সময় অজান্তেই আমরা এমন কিছু ভুল করে ফেলি যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ত্বক।
আসুন দেখে নেওয়া যাক শেভিং করতে গিয়ে কী কী সাধারণ ভুল হতে পারে আসমাদের।
১. শেভিংয়ের আগে এক্সফোলিয়েট না করা
ত্বকে রেজার চালানোর আগে যদি একটু ঘষে এক্সফোলিয়েট করে নিতে পারেন, তা হলে শেভিং ভালো হবে। এক্সফোলিয়েশনের ফলে হাত পায়ের মৃত কোষ উঠে যাবে, শেভিংও হবে ঝটপট।
২. ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করা
শেভিং হয়ে যাওয়ার পরে ধুয়ে নিয়ে তৎক্ষণাৎ ভালো করে ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। আর হ্যাঁ, সাবানের ফেনা ধোয়ার সময় অবশ্যই ঠান্ডা জল ব্যবহার করবেন!
৩. যথেষ্ট ফেনা না করা
তাড়া আছে বলে কোনওরকমে একটু সাবান ঘষেই রেজার চালান? ভুল করছেন। ত্বক যথেষ্ট সাবানের ফেনায় ভালোমতো ভেজা না থাকলে কেটে যেতে পারে, ত্বকে র্যাশ বেরোতে পারে, সবচেয়ে বড়ো কথা ত্বকের মসৃণ ভাবটাই নষ্ট হয়ে যায়! তাই যত তাড়াই থাক, ভালো করে ফেনা করে তারপর শেভ করুন।
৪. ডিসপোজেবল রেজার বেশিবার ব্যবহার করা
ডিসপোজেবল রেজার দিয়ে যাঁরা প্রতিদিন বা একদিন অন্তর শেভিং করেন, তাঁরা সাতদিন অন্তর রেজার পালটে ফেলুন। নয়তো নানারকম সংক্রমণ দেখা দিতে পারে ত্বকে।
৫. লোমের বৃদ্ধির উলটো অভিমুখে শেভিং
রোমের বৃদ্ধির উলটোদিকে শেভ করলে একদম গোড়া থেকে রোম উঠে যায় ঠিকই, কিন্তু এতে কেটে যাওয়ার আশঙ্কাও বেশি। তা ছাড়া ইনগ্রোন হেয়ারের মতো সমস্যা, খসখসেভাবও হতে পারে।
No comments: