Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

যদি অত্যধিক স্ট্রেসের শিকার হয়ে পড়েন তবে বিশেষ নজর দিন এইভাবে



দেখতে না দেখতেই সপ্তাহান্তের ছুটি শেষ হয়ে এসে যাবে আর একটা সোমবার, এবং তার পিছু পিছু নানারকম কর্মব্যস্ততা। ফের সাতসকালে ঘুম থেকে উঠে রাস্তার জ্যাম ঠেঙিয়ে, ভিড় ঠেলে অফিস বা স্কুল-কলেজে পৌঁছোনো, সেখানে সারাদিন ডেডলাইনের পিছনে দৌড়, দিনের শেষে আবার বাড়ি ফিরে সংসারের নানা দিক সামলানো, সব মিলিয়ে সারাক্ষণই একটা বিপুল চাপের মধ্যে থাকতে হবে গোটা সপ্তাহ। একটানা এমনভাবে চাপে থাকতে থাকতে তার ছাপ মুখে পড়া মোটেই অস্বাভাবিক নয়। প্রথম থেকে সামাল না দিলে পরে কিন্তু কোনও রূপটান দিয়েই মুছে ফেলতে পারবেন না স্ট্রেসের এই সব চিহ্ন। 


দেখে নিন মুখে কীভাবে ছাপ ফেলে স্ট্রেস আর কীভাবে তার মোকাবিলা করতে পারেন আপনি। 


চোখের কোলে ফোলাভাব: ঘণ্টার পর ঘণ্টা মিটিং, ডেডলাইনের তাড়া, সংসারের দায়িত্ব, এ সব মিলে কি আপনার ঘুমের ব্যাঘাত হচ্ছে? চোখের কোলে ফোলাভাব দেখা দিলে তার প্রথম কারণ ঘুমের অভাব। যাঁরা উপুড় হয়ে ঘুমোতে অভ্যস্ত, তাঁদের চোখের নিচের ফোলাভাব বেশি হয়।

কী করবেন: প্রতিদিন অন্তত আট ঘণ্টা ঘুম দরকার। ঘুমোতে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে স্মার্টফোন সহ সমস্ত গ্যাজেট বন্ধ করে দিন। সকালে উঠে চোখের কোল ফোলা দেখলে একটা কনকনে ঠান্ডা স্টিলের চামচ (আগের রাতেই ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখুন) দিয়ে চোখের কোলের ভিতরের কোণ থেকে বাইরের দিকে চেপে চেপে মাসাজ করুন।


শুকনো, নিষ্প্রভ ত্বক: মানসিক চাপে থাকলে আমরা পর্যাপ্ত জল খেতে ভুলে যাই। কফি বা সোডা জাতীয় পানীয় খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই সেই শুষ্কতার ছাপ মুখেও পড়ে।

কী করবেন: প্রতিদিন অন্তত আট গেলাস জল খেতেই হবে। শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডান্টের জোগান দিতে গ্রিন টি খেতে পারেন। সঙ্গে জলীয় পদার্থের পরিমাণ বেশি এমন ফল ও সবজি খান। শসা, টমেটো, তরমুজের মতো ফলের 80 থেকে 90 শতাংশই জল। বাইরে থেকে ত্বকে আর্দ্রতার জোগান দিতে হ্যালিউরনিক অ্যাসিড যুক্ত স্কিন সিরাম বা ময়শ্চারাইজ়ার মাখতে পারেন।


ব্রণ: আপনার যদি এমনিতেই ব্রণর সমস্যা থেকে থাকে, তা হলে মানসিক চাপের ফলে সেই সমস্যা অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। স্ট্রেসের কারণে শরীরে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যা থেকে ব্রণ বা ফোঁড়া দেখা দিতে পারে। 

কী করবেন: মানসিক চাপ আর উদ্বেগ কমানোর জন্য ডিপ ব্রিদিং অভ্যাস করুন। প্রতিদিন অন্তত দশ মিনিট ধ্যান করতে পারলে খুব ভালো হয়। তার সঙ্গে প্রচুর জল, শাকসবজি আর ফল তো খেতেই হবে।


সূক্ষ্ম রেখা: একটানা অত্যধিক চাপে থাকতে হলে মুখে অকালে বয়সের ছাপ পড়া বিচিত্র নয়। ভুরু কুঁচকে থাকলে, ঠোঁট চেপে থাকতে থাকতে কপাল, চোখ আর মুখের চারপাশে সূক্ষ্ম রেখা দেখা দেয় যা ধীরে ধীরে বলিরেখায় পরিণত হয়। 

কী করবেন: ভুরু কুঁচকে বা ঠোঁট টিপে থাকার অভ্যেস সচেতনভাবে বন্ধ করুন। এ ছাড়া উপায় নেই!


পাকা চুল: বংশগতভাবে পাকা চুলের সমস্যা আছে? তার সঙ্গে স্ট্রেস যুক্ত হলে কিন্তু হু হু করে পেকে যাবে সব চুল! তার সঙ্গে চুল পাতলা হয়েও যেতে পারে!

কী করবেন: চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বায়োটিন বা ভিটামিন বি খেয়ে দেখতে পারেন। প্রোটিন সমৃদ্ধ শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।

চুল ওঠা: একটানা মানসিক চাপে থাকতে থাকতে চুল ওঠার সমস্যা অনেকটাই বেড়ে যায়।

অত্যধিক স্ট্রেসের শিকার হয়ে পড়েছেন! বিশেষ নজর দিন এভাবে






দেখতে না দেখতেই সপ্তাহান্তের ছুটি শেষ হয়ে এসে যাবে আর একটা সোমবার, এবং তার পিছু পিছু নানারকম কর্মব্যস্ততা। ফের সাতসকালে ঘুম থেকে উঠে রাস্তার জ্যাম ঠেঙিয়ে, ভিড় ঠেলে অফিস বা স্কুল-কলেজে পৌঁছোনো, সেখানে সারাদিন ডেডলাইনের পিছনে দৌড়, দিনের শেষে আবার বাড়ি ফিরে সংসারের নানা দিক সামলানো, সব মিলিয়ে সারাক্ষণই একটা বিপুল চাপের মধ্যে থাকতে হবে গোটা সপ্তাহ। একটানা এমনভাবে চাপে থাকতে থাকতে তার ছাপ মুখে পড়া মোটেই অস্বাভাবিক নয়। প্রথম থেকে সামাল না দিলে পরে কিন্তু কোনও রূপটান দিয়েই মুছে ফেলতে পারবেন না স্ট্রেসের এই সব চিহ্ন। 


দেখে নিন মুখে কীভাবে ছাপ ফেলে স্ট্রেস আর কীভাবে তার মোকাবিলা করতে পারেন আপনি। 


চোখের কোলে ফোলাভাব: ঘণ্টার পর ঘণ্টা মিটিং, ডেডলাইনের তাড়া, সংসারের দায়িত্ব, এ সব মিলে কি আপনার ঘুমের ব্যাঘাত হচ্ছে? চোখের কোলে ফোলাভাব দেখা দিলে তার প্রথম কারণ ঘুমের অভাব। যাঁরা উপুড় হয়ে ঘুমোতে অভ্যস্ত, তাঁদের চোখের নিচের ফোলাভাব বেশি হয়।

কী করবেন: প্রতিদিন অন্তত আট ঘণ্টা ঘুম দরকার। ঘুমোতে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে স্মার্টফোন সহ সমস্ত গ্যাজেট বন্ধ করে দিন। সকালে উঠে চোখের কোল ফোলা দেখলে একটা কনকনে ঠান্ডা স্টিলের চামচ (আগের রাতেই ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখুন) দিয়ে চোখের কোলের ভিতরের কোণ থেকে বাইরের দিকে চেপে চেপে মাসাজ করুন।


শুকনো, নিষ্প্রভ ত্বক: মানসিক চাপে থাকলে আমরা পর্যাপ্ত জল খেতে ভুলে যাই। কফি বা সোডা জাতীয় পানীয় খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই সেই শুষ্কতার ছাপ মুখেও পড়ে।

কী করবেন: প্রতিদিন অন্তত আট গেলাস জল খেতেই হবে। শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডান্টের জোগান দিতে গ্রিন টি খেতে পারেন। সঙ্গে জলীয় পদার্থের পরিমাণ বেশি এমন ফল ও সবজি খান। শসা, টমেটো, তরমুজের মতো ফলের 80 থেকে 90 শতাংশই জল। বাইরে থেকে ত্বকে আর্দ্রতার জোগান দিতে হ্যালিউরনিক অ্যাসিড যুক্ত স্কিন সিরাম বা ময়শ্চারাইজ়ার মাখতে পারেন।

সূক্ষ্ম রেখা: একটানা অত্যধিক চাপে থাকতে হলে মুখে অকালে বয়সের ছাপ পড়া বিচিত্র নয়। ভুরু কুঁচকে থাকলে, ঠোঁট চেপে থাকতে থাকতে কপাল, চোখ আর মুখের চারপাশে সূক্ষ্ম রেখা দেখা দেয় যা ধীরে ধীরে বলিরেখায় পরিণত হয়। 

কী করবেন: ভুরু কুঁচকে বা ঠোঁট টিপে থাকার অভ্যেস সচেতনভাবে বন্ধ করুন। এ ছাড়া উপায় নেই!


পাকা চুল: বংশগতভাবে পাকা চুলের সমস্যা আছে? তার সঙ্গে স্ট্রেস যুক্ত হলে কিন্তু হু হু করে পেকে যাবে সব চুল! তার সঙ্গে চুল পাতলা হয়েও যেতে পারে!

কী করবেন: চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বায়োটিন বা ভিটামিন বি খেয়ে দেখতে পারেন। প্রোটিন সমৃদ্ধ শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।


চুল ওঠা: একটানা মানসিক চাপে থাকতে থাকতে চুল ওঠার সমস্যা অনেকটাই বেড়ে যায়।

কী করবেন: খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর দিন, কোনও অসুস্থতা থেকে চুল উঠছে কিনা জানতে চিকিৎসকের সঙ্গেও কথা বলতে হবে। চুল ওঠার আসল কারণ জানতে পারলে তা বন্ধ করা সম্ভব!


ব্রণ: আপনার যদি এমনিতেই ব্রণর সমস্যা থেকে থাকে, তা হলে মানসিক চাপের ফলে সেই সমস্যা অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। স্ট্রেসের কারণে শরীরে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যা থেকে ব্রণ বা ফোঁড়া দেখা দিতে পারে। 

কী করবেন: মানসিক চাপ আর উদ্বেগ কমানোর জন্য ডিপ ব্রিদিং অভ্যাস করুন। প্রতিদিন অন্তত দশ মিনিট ধ্যান করতে পারলে খুব ভালো হয়। তার সঙ্গে প্রচুর জল, শাকসবজি আর ফল তো খেতেই হবে।



No comments: