Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

জেনে নিন, ডায়াবেটিস রোগীদের রাতে দুধ পান করা কী নিরাপদ ?


ডায়াবেটিক খাদ্য ঃ যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের জন্য রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে।  কী খাবেন, কখন খাবেন এবং কতটা খাবেন সেদিকে খেয়াল রাখা খুবই জরুরি হয়ে পড়ে। সুষম পুষ্টির জন্য দুধকে ভালো খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়, কিন্তু এটি কি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য, বিশেষ করে রাতে খাওয়া উচিৎ?


দুধে ডায়াবেটিস


চর্বি, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ ছাড়াও, দুধে ল্যাকটোজ আকারে কার্বোহাইড্রেটও রয়েছে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উদ্বেগের কারণ, কারণ তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে তাদের কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ সীমিত করতে হবে। দুধে উপস্থিত ল্যাকটোজ শরীরে চিনিতে রূপান্তরিত হয়, যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়ায়।


ডায়াবেটিস রোগীদের রাতে দুধ খাওয়া কি ঠিক?


দুধ রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে কাজ করে, যেহেতু ল্যাকটোজ চিনিতে রূপান্তরিত হয়, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের রাতে দুধ পান করা এড়িয়ে চলা উচিত। এছাড়াও শরীর রাতে ল্যাকটোজ ভাঙ্গন থেকে প্রাপ্ত শক্তি ব্যবহার করতে অক্ষম, তাই সকালের খাবারে দুধ পান করা ভালো। সেই সময় শরীরে সুগার লেভেল কম থাকে এবং সারাদিন শরীরে শক্তির প্রয়োজন হয়। তবে রাতে দুধ পান করলে ভালো ঘুম হয়, তাই ঘুমানোর আগে হলুদের দুধ খেতে পারেন। হলুদ ইনসুলিনের মাত্রা বাড়ায়, যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা ভারসাম্য বজায় থাকে।


দুধ কি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে?


হ্যাঁ, দুধে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকায় এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়।  


এক কাপ গরুর দুধে:


চর্বি - 7 গ্রাম, ক্যালোরি - 152, কার্বোহাইড্রেট - 12 গ্রাম


অন্যদিকে কম চর্বিযুক্ত গরুর দুধে মাত্র 12 গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে।


অতএব, যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের স্কিম মিল্ক খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, যাতে ফ্যাট এবং ক্যালোরি কম থাকে। এটি গরুর দুধের মতো রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না। এছাড়াও, বাদাম দুধ, সয়া দুধ এবং ফ্ল্যাক্সসিড দুধেও কার্বোহাইড্রেট এবং ক্যালোরি কম থাকে।


একজন ডায়াবেটিস রোগী দিনে কতটা দুধ পান করতে পারেন?


ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দুধের পরিমাণে মনোযোগ দেওয়া উচিত, কারণ এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। প্রতিটি খাবার একেক মানুষের ওপর একেক রকম প্রভাব ফেলে। সেজন্য শরীর অনুযায়ী খাবারের পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। সাধারনত দিনে ৩ কাপ দুধ খাওয়া যায়, কিন্তু তারপরও এক কাপ দুধ আপনি খেতে পারেন। তবে সেটা আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করার পর।

প্র ভ

No comments: