জেনে নিন, ঘটের ওপর নারকেল রাখার কারণ কী?

কলকাতা: হিন্দু ধর্মে পূজার সময় শ্রীফল অর্থাৎ নারকেলের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।  ভগবান শিব ছাড়া সমস্ত দেবতাকে নারকেল নিবেদন করা হয়। বিয়ে হোক, আচার-অনুষ্ঠান হোক বা গৃহপ্রবেশ, এই সমস্ত শুভ কাজে কলাগাছ  ব্যবহার করা হয়।  এছাড়াও কলশ স্থাপন করা হয়, যার উপরে নারকেল রাখা হয়।  নারকেল ছাড়া কলশ স্থাপন অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। কলশ স্থাপনের সময় নারকেল এবং কলশ উভয়েরই পূজা করা হয়।

নারকেল ঘটে রাখার কারণ:

ধর্মীয় শাস্ত্র অনুসারে, ভগবান গণেশকে নারকেলের প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বিশ্বাস অনুসারে, নারকেলের সাদা অংশ এবং এতে উপস্থিত জল চন্দ্র গ্রহের প্রতিনিধিত্ব করে।

ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, নারকেলে ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ ত্রিমূর্তি বাস করেন বলে বিশ্বাস করা হয়।  কলশের উপরে নারকেল রাখার একমাত্র উদ্দেশ্য হল এই সমস্ত দেবতাদের আমন্ত্রণ জানানো এবং অনুষ্ঠানটি সফল করা যাতে শুভ কাজগুলি কোনও বাধা ছাড়াই ফলপ্রসূ হয়।

যখনই আপনি কোন ধর্মীয়, শুভ কাজে কলশ স্থাপন করবেন, তখন বিশেষ খেয়াল রাখবেন যে কলশের মুখটি উপাসকের মুখের সামনে থাকে, যে প্রান্ত থেকে নারকেলটি ডালের সাথে লেগে থাকে সেটিকে তার মুখ বলে মনে করা হয়। 

নারকেল প্রতিকার

তন্ত্রশাস্ত্র অনুসারে, যদি কোনও ব্যক্তির ঋণ দীর্ঘদিন ধরে মিটতে না থাকে, তবে সেই ব্যক্তির উচিত তেলে সিঁদুর মিশিয়ে নারকেলের উপর একটি স্বস্তিক তৈরি করা এবং সেই নারকেলটি তার প্রিয় ভোগ গুড় ছোলা সহ ভগবান হনুমানের পায়ে অর্পণ করা।  অতঃপর সেখানে বসে ঋণ মোচনের উৎস আবৃত্তি করা। এতে করে আপনি ঋণ থেকে মুক্তি পাবেন।

নেতিবাচক শক্তি দূর করার প্রতিকার:

যদি আপনার মনে হয় যে আপনার বাড়িতে কেউ জাদু করেছে বা নেতিবাচক শক্তি আধিপত্য করছে, তাহলে একটি নারকেলের মধ্যে কালো টিকা রেখে বাড়ির প্রতিটি কোণে নিয়ে যান এবং এই নারকেলটি প্রবাহিত জলে রেখে দিন। এর ফলে আপনি দ্রুত উপকার পাবেন।

যদি আপনার ব্যবসা দীর্ঘদিন ধরে মন্থর হয়, তাহলে একটি হলুদ কাপড়ে একটি নারকেল মুড়িয়ে তার উপর একটি জেনু এবং দেড় পাউভ সাদা মিষ্টি রেখে ভগবান বিষ্ণুকে নিবেদন করুন। এটি আপনার ব্যবসায় লাভ আনবে।

প্র ভ