বর্ষায় স্নান না করলে শরীর খারাপ হতে পারে

সবাই বর্ষাকাল পছন্দ করে। বর্ষায় গরম গরম তেলে ভাজা, চা খেতে সকলেই খুব ভালোবাসেন। তবে এটা ঠিক যে, শীত ও বর্ষা এলেই মানুষ জল খাওয়া কমাতে শুরু করে।

এছাড়াও বৃষ্টির ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় অনেক সময় চানও এড়িয়ে যায়। ঠাণ্ডা জল তো দূরের কথা, অনেকে গরম জল দিয়েও চান  এড়িয়ে যান। কিন্তু কেউ যদি বর্ষাকালে চান এড়িয়ে চলে তাহলে তা শরীরের অনেক ক্ষতি করে।

তাই বিশেষজ্ঞরা প্রতি ঋতুতে প্রতিদিন চান করার পরামর্শ দেন।আপনিও যদি মাঝে মাঝে আবহাওয়ার কারণে চান না করার অজুহাত দেন, তাহলে বর্ষায় চান না করার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও জেনে নিন।

সংক্রমণ

হেলথলাইন অনুসারে, আমাদের শরীরে অনেক জীবাণু এবং কোষ রয়েছে। কেউ চান না করলে তার শরীরে মৃত কোষ তৈরি হয়, যা শরীরের অনেক ক্ষতি করে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বর্ষায় চান না করার কারণে কোমরের অংশে মৃত কোষ বেশি জন্মায়, যা সংক্রমণ ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। এটি পরে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

শরীরে গন্ধ

বর্ষাকালে, আপনার বাড়ি হোক বা আপনার পোশাক, সর্বত্রই আর্দ্রতা থাকে। আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে এমনকি শুকনো জামাকাপড়ও বৃষ্টিতে কিছুটা ভিজে দেখায়, কারণ এতে প্রচুর আর্দ্রতা থাকে।

এখন এমন পরিস্থিতিতে চান না করলে শরীরে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। যার থেকে  শরীরে প্রচুর দুর্গন্ধ হয়, যা অন্যান্য সংক্রমণের কারণও হতে পারে।

ত্বকের সংক্রমণ

চান করলে ত্বক খুব ভালো থাকে।হেলথলাইন অনুসারে, চান না করা ত্বকের প্রদাহ এবং অন্যান্য গুরুতর অবস্থার কারণ হতে পারে। তাই সবসময় চান করা উচিত। 

দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: 

যখন কেউ চান না করে, তখন শরীরে উপস্থিত ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া সংখ্যা বাড়তে বেশি সময় পায়, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় এবং অন্যান্য সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ায়।

কালো বা বিবর্ণ ত্বক:

কেউ চান না করলে কিছু সময়ের জন্য শরীরের একটি নির্দিষ্ট অংশের ত্বকের রং কালচে হয়ে যেতে পারে। যদিও এই কালো ত্বক  চানের মাধ্যমে দূর হয়ে যায়, কিন্তু এই দাগগুলো যদি আরও কালো হয়ে যায় তাহলে তা আরও গভীর হতে পারে।

আঠালো ভাব

বর্ষায় অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে শরীরে আঠালো ভাব দেখা দেয়। অন্যদিকে, আপনি যদি চান না করেন, তবে আঠালো ভাব আরও বাড়বে এবং আপনি আরাম বোধ করবেন না।

প্র ভ