Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

জেনে নিন, দইয়ের উপকারিতা ও কেন এটি শিশুদের প্রতিদিন খাওয়া উচিৎ


বাচ্চাদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো খুব কঠিন। শিশুদের বদমেজাজির কারণে তাদের শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় না আর সঠিক বিকাশ না হলে তারা রোগের শিকার হয়।


এমতাবস্থায় শিশুদের খাবারে দই অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যা শিশুরা খুব আগ্রহের সাথে খেলে পুষ্টি পূরণ হয়।দইয়ে রয়েছে ক্যালোরি, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, কপার, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১২ প্রভৃতি। শিশুরা দই খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। 


জেনে নিন, দইয়ের না উপকারিতা।


হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য


দইয়ের ভিতরে পাওয়া ক্যালসিয়াম শুধুমাত্র হাড়কে সুস্থ রাখে না, এটি শিশুদের হাড়ের বিকাশের জন্যও উপকারী। এ ছাড়া শিশুর দুর্বল হাড়ের প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগাতে শিশুদের খাদ্যতালিকায় দই যোগ করতে পারেন।


দাঁত শক্তিশালী করা


আমরা আগেই বলেছি, দইয়ের ভিতরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়, যা শুধু হাড়কে মজবুত করে না, দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্যও প্রয়োজনীয়।দাঁত মজবুত করতেও ক্যালসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এমন পরিস্থিতিতে দাঁতের সমস্যা দূর করতে দই খাওয়া উপকারী।


ক্ষুধা বাড়াতে সহায়ক


বেশিরভাগ শিশুর ক্ষুধা লাগে না বা মন দিয়ে খেতে চায় না।এমন পরিস্থিতিতে দই খাওয়া তাদের ক্ষুধা বাড়াতে সাহায্য করে।দই প্রথমে তাদের পেট ঠাণ্ডা করে এবং তারপর ক্ষুধার হরমোনকে উদ্দীপিত করে। এছাড়াও, এটি শিশুদের বিপাক ত্বরান্বিত করে এবং ক্ষুধা বাড়ায়। তাই আপনার বাচ্চাদের প্রতিদিন এক বাটি দই খাওয়ান।


পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি 


দই প্রোবায়োটিকগুলির মধ্যে একটি। এতে ল্যাক্টোব্যাসিলাস নামক এক প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া রয়েছে।এটি প্রাকৃতিকভাবে মানুষের অন্ত্র এবং মূত্রনালীতে পাওয়া যায়। এটি হজমে সাহায্য করে এবং শরীরকে রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে।বাচ্চাদের জাঙ্ক ফুড খাওয়ার প্রবণতায় তাদের পেট খারাপ হয়ে যায়। দিনে কয়েক চা চামচ দই মাইক্রোবায়োটা সুস্থ রাখে এবং অন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।এর ফলে মেটাবলিক রেটের পাশাপাশি মলত্যাগও ঠিক থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় না।এছাড়াও দই পেট ব্যথা, ডায়রিয়া এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।


রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়


শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই দুর্বল। এমন পরিস্থিতিতে শিশুরা সহজেই যেকোনো রোগ বা সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়ে। মায়েরা যদি শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চান তাহলে তাদের খাদ্যতালিকায় দই যোগ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারেন।


সুস্থ হৃদয় 


ওজন বাড়লে অনেক রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ ধরনের গবেষণায় জানা গেছে, দই খেলে ওজন ভারসাম্য বজায় রেখে হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো যায়। অন্যান্য গবেষণায় জানা গেছে যে দই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।


রক্ত ক্ষয় প্রতিরোধ


শরীরে রক্তের অভাব হলে রক্তশূন্যতার সমস্যা হতে পারে।  ফোলেট লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে খুব সহায়ক। এমন পরিস্থিতিতে দইয়ের ভিতরে পাওয়া ফোলেট এই সমস্যা দূর করতে আপনার কাজে আসতে পারে।


শিশুদের বিকাশে সহায়ক


দইয়ে ভালো পরিমাণে প্রোটিন থাকে। সুতরাং, আপনি যদি নিরামিষভোজী হন, দই আপনার শিশুর প্রধান খাদ্য হওয়া উচিত। প্রোটিন বাচ্চাদের বেশি দিন সক্রিয় এবং পরিতৃপ্ত থাকতে সাহায্য করে।এটি শরীরের বিপাক প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং শরীরের পেশী এবং টিস্যুগুলির বৃদ্ধি এবং উন্নত করতে সহায়তা করে।

প্র ভ

No comments: