Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৫টি সহজ, সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর দুপুরের খাবার


ডায়াবেটিসে মানুষকে তাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকতে হয়।  
খাদ্যাভাসে একটু অসাবধানতা আপনার সুগার লেভেল বাড়িয়ে দিতে পারে।  
সেক্ষেত্রে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপনার খাদ্যতালিকায় এই জিনিসগুলি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। আপনার ডায়াবেটিস থাকলে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চিন্তা না করে কিছু খেতে পারবেন না। আপনাকে আপনার খাওয়ার পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হবে, তারপর আপনি যে কোনও কিছু খেতে পারেন। প্রথমত, আপনার খাদ্য পরিকল্পনা করা উচিত।  
আপনার ডায়েটে অবশ্যই ফল, সবুজ শাকসবজি, গোটা শস্য, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং প্রোটিন অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এটি আপনাকে সুস্থ রাখবে এবং আপনার ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখবে।

১. সবুজ শাক-সবজি- একজন চিনির রোগীকে অবশ্যই তার দুপুরের খাবারে সবুজ শাক-সবজি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। দুপুরের খাবারে পালং শাক, মেথি, বাথুয়া, ব্রকলি, লাউ, টরাই, করলা ইত্যাদি সবজি খেতে পারেন। এগুলিতে কম ক্যালোরি এবং বেশি পুষ্টি থাকে। সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। সবুজ শাকসবজি হৃৎপিণ্ড ও চোখের জন্যও খুবই উপকারী। সবুজ শাকসবজিতে ভিটামিন সি রয়েছে যা টাইপ ২ রোগীদের জন্যও উপকারী। সেখানেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়।

২. গোটা শস্য এবং ডাল- আপনার ডায়াবেটিস থাকলে আপনার শস্যও পরিবর্তন করতে হবে। আপনার মধ্যাহ্নভোজে আরও ডাল অন্তর্ভুক্ত করুন। ডাল শরীরে প্রচুর প্রোটিন, পটাশিয়াম, ফাইবার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। গমের রুটির পরিবর্তে, পুরো শস্যের রুটি, ব্রান বা মাল্টিগ্রেন রুটি, বাদামী চাল, বার্লি এবং কুইনো অন্তর্ভুক্ত করুন। এটি স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করে।

৩. ডিম- সুস্থ থাকতে চাইলে ডায়েটে ডিম অন্তর্ভুক্ত করুন। প্রতিদিন একটি ডিম খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং সমস্ত অ্যামিনো অ্যাসিড যা আপনাকে সুস্থ রাখে। ডিম খেলে শরীরে ভালো কোলেস্টেরল বাড়ে, প্রদাহ কমায় এবং রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে। প্রতিদিন ডিম খেলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমে।

৪. দই- দুপুরের খাবারে দই খেলে মজা দ্বিগুণ হয়ে যায়। সুগারের রোগীও। খাবারে দই খেতে পারেন। দইয়ে ভালো পরিমাণে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং পুষ্টি উপাদান রয়েছে। দইয়ে পাওয়া CLA ​​শরীরে স্বাস্থ্যকর ব্লাড সুগার বাড়ায়। CLA হল চর্বি যা ওজন কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে।

৫. চর্বিযুক্ত মাছ- যদি আপনি ননভেজ খান, তবে অবশ্যই দুপুরের খাবারে চর্বিযুক্ত মাছ অন্তর্ভুক্ত করুন। সার্ডিন, হেরিং, স্যামন মাছও খেতে পারেন। ডায়াবেটিসে মাছ খুবই উপকারী। মাছে ভালো পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ডিএইচএ এবং ইপিএ রয়েছে। মাছ খেলে প্রদাহ কমে এবং হার্ট সুস্থ থাকে। তাই খাবারে অবশ্যই মাছ রাখুন।

No comments: