Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

গরমে রোজ এক চামচ গুলকন্দ খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়, জেনে নিন কীভাবে ঘরেই তৈরি করবেন


গ্রীষ্মে এমন কিছু জিনিস আছে, যেগুলো খেলে শুধু শীতলতাই পাওয়া যায় না, এটি আপনার হজম প্রক্রিয়াকেও ঠিক রাখে।  আজ আমরা আপনাদের বলব গুলকান্দের কথা, যা অনেকে মাউথ ফ্রেশনার হিসেবেও খান।  আপনি খুব সহজেই বাড়িতে গুলকান্দ তৈরি করতে পারেন অথবা দোকান থেকেও গুলকন্দ কিনতে পারেন।  অনেকেই ভাবছেন গুলকান্দ আসলে কি?  গুলকন্দ হল গোলাপের পাপড়ি ও চিনির মিশ্রণ।  গুলকান্দ জাম বা মুরাব্বার মতো নয়।



 গুলকান্দ কিভাবে বানাবেন

 গুলকান্দ তৈরি করতে আপনার তাজা গোলাপ পাতা দরকার।  প্রথমে গোলাপ ফুলের পাপড়ি সংগ্রহ করে পরিষ্কার করতে হবে।  এবার সমপরিমাণ চিনি বা চিনি মিছরি নিন।  একটি জারে সবকিছু রাখুন।  জারটি কাঁচের হতে হবে যাতে রোদে রাখলে ভালোভাবে শুকাতে পারে।  এই বয়ামটি 12-15 দিন রোদে রাখুন।  গোলাপের পাপড়ির একটি স্তর চিনি বা চিনির ক্যান্ডির স্তরের নীচে থাকা উচিত।  এতে এলাচও যোগ করতে পারেন।


 গরমে গুলকন্দের উপকারিতা

 ক্লান্তি, ব্যথা, পেশী ব্যথা এবং পেটের গরমের মতো স্বাস্থ্য সমস্যা দূর করতে গুলকন্দ কার্যকর।  গ্রীষ্মকালে অনেকেরই তালুতে জ্বালাপোড়া হয়, সেক্ষেত্রে গুলকন্দ খেতে পারেন।  খাওয়া ছাড়াও গুলকন্দ শরবত বানিয়ে বা লস্যিতে যোগ করে পান করা যায়।


 গুলকান্দের অন্যান্য উপকারিতা রয়েছে

 এটি মুখের আলসারের চিকিৎসা করে, যা বেশির ভাগই এমন লোকেদের হয় যাদের শরীরের তাপ বেশি থাকে।

 

 এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে এবং তাই এটি পিরিয়ডের সময় মহিলাদের ক্র্যাম্প বা ভারী প্রবাহ থেকে মুক্তি দেয়।

 

 যাদের পাইলস অর্থাৎ পাইলসের সমস্যা আছে তারাও গুলকন্দ ব্যবহার করতে পারেন।

 

 এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা শরীরকে ডিটক্স করে।

 

 গ্রীষ্মকালে যাদের নাক দিয়ে রক্ত ​​পড়ছে, তাদেরও গুলকন্দ খাওয়া উচিত।

 

 যদি আপনার ঘামে অতিরিক্ত গন্ধ হয়, তাহলে প্রতিদিন গুলকন্দ খেতে পারেন।  গুলকন্দের শীতল প্রভাব শরীরের ঘামেও প্রভাব ফেলে।

No comments: