শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে কী হয়? জেনে নিন
আপনি প্রায়শই শুনেছেন যে শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে অনেকগুলি ভাঁজ রোগও শুরু হয়। এমন পরিস্থিতিতে, বেশিরভাগ মানুষ জানেন যে এটি একটি স্বাস্থ্য সমস্যা, কিন্তু আসলে এটি কী? এটি সম্পর্কে খুব কম লোকই জানে। আসুন, জেনে নেই কোলেস্টেরল কী এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কোন ফল খাওয়া যায়?
কোলেস্টেরল কি?
কোলেস্টেরল রক্তে পাওয়া একটি মোম জাতীয় পদার্থ। স্বাস্থ্যকর কোষ তৈরির জন্য এটি শরীরের প্রয়োজন, তবে এটির অত্যধিক পরিমাণ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। উচ্চ কোলেস্টেরল রক্তনালীতে চর্বিযুক্ত পদার্থ জমার দিকে পরিচালিত করে। যা বহুগুণ বেড়ে যায় এবং এর কারণে হৃৎপিণ্ডের ধমনী থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত প্রবাহিত হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। কখনও কখনও এই জমা পদার্থের আকস্মিক ভাঙ্গন একটি ক্লট গঠনের দিকে পরিচালিত করে, যা হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এই ফলগুলো
নাশপাতি
প্রতিদিন একটি নাশপাতি খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। নাশপাতিতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ইত্যাদি।
স্ট্রবেরি
স্ট্রবেরি স্বাদেও খুব ভালো। এছাড়াও আপনার খাদ্যতালিকায় স্ট্রবেরি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। স্ট্রবেরি ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, ফোলেট, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়ামের মতো পুষ্টিতে ভরপুর।
আপেল
আপনি নিশ্চয়ই শুনেছেন যে প্রতিদিন একটি আপেল খেলে আমরা সুস্থ থাকতে পারি। আপেল খেলে খারাপ কোলেস্টেরলের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। আপেলে আছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট।
আঙ্গুর
শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমাতে পারে আঙুর। এতে ফাইবার, প্রোটিন, আয়রন, কপার, ফোলেট, ভিটামিন সি, এ, কে এবং বি এর মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
পেঁপে
পেঁপে খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। পেঁপেতে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাসের মতো পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। এতে আয়রনও পাওয়া যায়।
লেবু
গ্রীষ্মকালে যে কোনো রূপে লেবু খাওয়া খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রনের মতো অনেক পুষ্টি উপাদান লেবুতে পাওয়া যায়।
No comments: