বাচ্চাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে যেসব ব্যায়াম

 নিয়মিত ব্যায়াম এবং যোগ অনুশীলন সবার জন্য উপকারী।  শিশুদের মধ্যে ব্যায়াম এবং যোগব্যায়ামের অভ্যাস তাদের বিকাশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে যা ভবিষ্যতে ভাল অভ্যাস গড়ে তুলতে খুব কার্যকর।  

নিয়মিত ব্যায়াম করা শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ, তাদের সঠিক বিকাশের জন্য খুবই উপযোগী। কিন্তু বেশিরভাগ অভিভাবকই বুঝতে পারেন না কোন বয়সে কোন ব্যায়াম বা যোগব্যায়াম করা উচিৎ শিশুদের জন্য।

৫বছরের বেশি বয়সী এবং ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের জন্য, নিয়মিত ব্যায়াম এবং খেলাধুলা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি আপনার শিশুকে শৈশব থেকেই সহজ কিছু  ব্যায়ামের অভ্যাস করাতে পারেন। যেমন -

বিয়ার ক্রল এক্সারসাইজ : একে আমরা সহজ ভাষায় হামাগুড়ি বলে থাকি। এটি শিশুদের প্রাথমিক ব্যায়ম। একটি বড়ো হলেই শিশুরা একা একাই এটি করতে সক্ষম হয়। বাচ্চাদের জন্য একটি সম্পূর্ণ শরীরের ওয়ার্কআউট হিসাবে বিবেচিত হয়। তাই বাচ্চারা যখন হামা গুড়ি দেবে তখন তাদের আটকাবেন না। এটি হাত ও পায়ের শক্তি বাড়াতে এবং শরীরকে নমনীয় রাখতে এই ব্যায়াম খুবই উপযোগী বলে মনে করা হয়।

 

 দৌড়ানো: দৌড়ানো শিশুদের জন্য খুবই উপকারী ব্যায়াম বলে মনে করা হয়।  এটি একটি সাধারণ ব্যায়াম যা যেকোনও বয়সেই করা যেতে পারে।  শিশুদের মধ্যে প্রথম থেকেই দৌড়ানোর অভ্যাস গড়ে তুললে তাদের শারীরিক বিকাশ সঠিকভাবে হয়। 

 দৌড়ানোর সময় বাচ্চাকে গাইড করতে পারেন এবং দৌড়ানোর সময় করা ভুলগুলি সম্পর্কেও বলতে পারেন।  দৌড়ানো শিশুদের শরীরের পেশীকে শক্তিশালী করে এবং তাদের বিকাশে সহায়তা করে।

পুল আপ: পুল আপ শিশুদের জন্য একটি দুর্দান্ত ব্যায়াম হিসাবে বিবেচিত হয়। পুল আপকে সহজভাবে ঝুলন্ত ব্যায়াম বলা হয়।  শিশুদের শারীরিক বিকাশ এবং তাদের পেশী প্রসারিত করতেও সাহায্য করে।

এছাড়া  এটির অনুশীলন তাদের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য খুব উপকারী বলে মনে করা হয়।  প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ টি পুল আপ করলে শিশুদের উচ্চতা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

 

যোগব্যায়াম: যোগ ব্যায়াম মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি মানসিক বিকাশকে তরান্বিত করে এবং মস্তিষ্কের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। 

শরীরের নমনীয়তা বজায় রাখার জন্য নিয়মিত যোগব্যায়াম অনুশীলনও দরকারী বলে মনে করা হয়।  আপনি বাচ্চাদের যোগাসন অনুশীলন করাতে পারেন যেমন চাইল্ডস পোজ, বেবি পোজ এবং কোবরা পোজ।