হাঁপানি নিরাময়ে এই ৫টি ব্যায়ম উপযোগী

 হাঁপানি শ্বাসতন্ত্রের একটি গুরুতর রোগ যা ফুসফুসের দীর্ঘমেয়াদী অবস্থা হতে পারে। হাঁপানির কারণে শ্বাসনালী সরু হয়ে যায় এবং ফুলে যায়। যার কারণে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া খুব  কঠিন হয়ে পড়ে।

শ্বাসকষ্ট  প্রতিদিনের রুটিনকে খুব কঠিন করে তোলে। অ্যালার্জি, ওষুধ, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, চাপ এবং উদ্বেগ ইত্যাদির কারণেও হাঁপানি হতে পারে। হাঁপানি রোগীদের দৌড়ানো, নাচা , দ্রুত হাঁটা এমনকি সিঁড়ি বেয়ে উঠতে অসুবিধা হয়। পরিবেশ বা জেনেটিক্সের মতো অনেক কারণে হাঁপানি হতে পারে।

এর জন্য আমরা চিকিৎসা করি, তবে চিকিৎসার পাশাপাশি আপনি কিছু যোগাসন অনুশীলন করে হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।  হাঁপানি নিয়ন্ত্রণের জন্য সেরা যোগাসনের কথা বলছি। আসুন জেনে নেওয়া যাক।

১.বজ্রাসন: বজ্রাসন করার জন্য, একটি মাদুর বিছিয়ে তার উপরে হাঁটু দিয়ে পিছনে বসুন।

 এখন আপনার হিলের উপর শ্রোণী বিশ্রাম করে 

  গোড়ালির মধ্যে সামান্য ফাঁক রাখুন। এবার উরুতে হাতের তালু রাখুন এবং সোজা সামনের দিকে তাকান, কিছুক্ষণ এই ভঙ্গিতে থাকুন এবং তারপর ভঙ্গি পরিবর্তন করা যেতে পারে।

২. পশ্চিমোত্তনাসন: এই যোগাসনের শুরুতে পা সামনের দিকে নিয়ে যান। বাহু উপরে তুলুন এবং শ্বাস ছাড়ার সাথে সাথে সামনের দিকে বাঁকুন এবং উপরের শরীরকে নীচের শরীর থেকে যতটা সম্ভব দূরে আনুন। ১০ সেকেন্ড এই ভঙ্গিতে থাকুন। কয়েক সেকেন্ড বিশ্রামের পর,  আবার এই ভঙ্গিতে ফিরে আসতে পারেন।

 

৩. উস্ট্রাসন: যোগব্যায়াম মাদুরে হাঁটু গেড়ে বসে  নিতম্বের উপর হাত রাখুন। এখন পিঠ বাঁকিয়ে  হাতের তালু পায়ের উপর স্লাইড করুন যতক্ষণ না বাহু সোজা হয়।

৪. চক্রাসন:  পিঠে শুয়ে পড়ুন এবং আপনার পা বাঁকান, এবার বাহু বাঁকান এবং হাতের তালুগুলি  মাথার উভয় পাশে উল্টো করে রাখুন।

 শ্বাস নেওয়ার সময়, আপনার হাতের তালু এবং পায়ে চাপ দিন এবং পুরো শরীরকে তুলুন, ঘাড় শিথিল করুন এবং আপনার মাথা ধীরে ধীরে পিছনে হেলে দিন।

৫. অর্ধমৎসেন্দ্রাসন - আসনটি করার জন্য প্রথমে মাদুরের ওপর বসুন। আপনার পা দুটো প্রসারিত করুন এবং মেরুদন্ড সোজা রাখুন। আপনার বাম পা এমন ভাবে বাঁকান যাতে আপনার বাম পায়ের গোড়ালি আপনার  ডান পায়ের মাজার কাছে আসে। এরপর আপনার ডান পা বাম হাঁটুর উপর নিন এবং বাম হাটু পাশে রাখুন। কয়েক সেকেন্ড ধরে আসনটি করুন। স্বাভাবিক শ্বাস নিন। কিছুক্ষণ পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন।