Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

কিভাবে আপনার সন্তানের খারাপ অভ্যাস ছাড়বেন? জেনে নিন

 


সন্তানকে ভালো অভ্যাস শেখানো, ভালো মূল্যবোধ দেওয়া বাবা-মায়ের দায়িত্ব।  অভিভাবকরাও এই দায়িত্ব খুব ভালোভাবে পালন করেন।  তারপরও শিশুর খারাপ ও নোংরা অভ্যাস আছে যা ছাড়ে না, যার কারণে বাবা-মাকে অনেক সময় অন্যের সামনে বিব্রত হতে হয়।  এই নিবন্ধে, আমরা এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস বলছি, যাতে অভিভাবকরা সন্তানের নোংরা এবং খারাপ অভ্যাস থেকে মুক্তি পেতে পারেন এবং বিব্রত হয়ে বিব্রত হওয়ার হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারেন-






 শিশুরা নিষ্পাপ এবং নিষ্পাপ, তারা তাদের নিষ্পাপতা দিয়ে সবার মন জয় করে, কিন্তু শিশুরা বড় হওয়ার সাথে সাথে তাদের অভ্যাস পরিবর্তন হতে থাকে।  অনেক সময়, শিশুরা নোংরা এবং খারাপ অভ্যাস শিখে।  অভিভাবকদের বোঝানোর পরও শিশুরা শোনে না।  বারবার প্রত্যাখ্যান ও প্ররোচনার পরও যদি শিশুর উন্নতি না হয়, তাহলে তার মানে শিশুর একটা খারাপ ও নোংরা অভ্যাস আছে।  খারাপ এবং খারাপ অভ্যাস থাকার অনেক কারণ আছে।  যেমন- একটি শিশু কোনো কিছু নিয়ে খারাপ বা রাগ করতে শুরু করে, ঘরের জিনিস ভাঙা শুরু করে, জিনিসপত্র তুলে এখানে-ওখানে ফেলে দেয়, পুরো ঘরকে অশান্ত করে তোলে, যাতে সে তার মন থেকে বেরিয়ে যেতে পারে।  এমন পরিস্থিতিতে বাবা-মায়ের পক্ষে মেনে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে যে শিশু ইতিমধ্যেই খারাপ বা খারাপ অভ্যাসের শিকার হয়েছে।






 শিশুর সমস্যা জানার চেষ্টা করুন




 




 শিশু যখনই উপরোক্ত কাজগুলো করা শুরু করে, তখনই অভিভাবক হিসেবে আপনার প্রথম কর্তব্য হলো সন্তানের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করা যে কেন সে এমন আচরণ করছে?  এমন অভ্যাস কোথায় ও কীভাবে পেল?  বাবা-মায়ের বারবার জিজ্ঞাসা করা হলে, শিশুটিও অনুভব করে, এমন পরিস্থিতিতে তারা তাদের দাঁত কামড়াতে শুরু করে, তাদের নখ চিবানো শুরু করে, এমনকি কখনও কখনও তারা বিরক্ত হয়।  বাবা-মায়ের উচিত সন্তানের আচরণ লক্ষ্য করা, সেসব বিষয়ে চিন্তা করা যা তাকে তা করতে বাধ্য করে।  একবার আপনি সমস্যাটি জানলে, তারপরে এটি সমাধানের সঠিক উপায় অনুসরণ করুন।




 2. শিশুকে বোঝানোর চেষ্টা করুন




 




 বেশিরভাগ অভিভাবকই মনে করেন যে শিশু বড় হওয়ার সাথে সাথে খারাপ এবং খারাপ অভ্যাসগুলি নিজেরাই চলে যাবে।  তাদের বারবার কথা বলার দরকার নেই।  যদিও এটি এমন নয়, একজন অভিভাবক হিসাবে, আপনার উচিত তাকে সঠিক এবং ভুলের মধ্যে পার্থক্য ব্যাখ্যা করা।  যদি আপনার ব্যাখ্যা শিশুর উপর কোন প্রভাব না ফেলে, তাহলে একজন শিশু বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।




 3. শিশুকে অভ্যাস ত্যাগ করতে উৎসাহিত করুন




 




 মা-বাবা যদি সন্তানের কোনো খারাপ অভ্যাস থেকে মুক্তি পেতে চান, তাহলে শিশুকে তা ত্যাগ করতে উৎসাহিত করুন এবং যতক্ষণ না শিশু তার বদঅভ্যাস ত্যাগ করে ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে উৎসাহ দিতে থাকুন।  যখন শিশুটি এই খারাপ অভ্যাসটি কাটিয়ে উঠবে, তখন তার প্রশংসা করুন, তার প্রশংসা করুন।  এটি তার আত্মবিশ্বাসকে বাড়িয়ে তোলে এবং তাকে ভাল অভ্যাস শিখতে চায়।




 4. শিশুকে শাস্তি দিতে ভুলবেন না




 




 শাস্তি কোনো সমস্যার সমাধান নয়।  তাই বদভ্যাস ভাঙতে শিশুকে শাস্তি দেওয়া ঠিক নয়।  এটি শিশুর উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।  বাবা-মায়ের দায়িত্ব সন্তানকে ভালোবাসা দিয়ে, বকাঝকা দিয়ে নয়।




 5. একটি অভ্যাস ভাঙতে সময় লাগে




 বাবা-মায়েরা বুঝতে ভুল করবেন না যে একটি ভাল অভ্যাস শিশু একদিনে শিখবে এবং খারাপ অভ্যাসটিও একদিনে ছেড়ে যাবে।  এ জন্য অভিভাবকদের ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে।  ধৈর্য ধরুন, আপনি বা শিশু চাপ অনুভব করবেন না।




 6. সন্তানের গায়ে হাত তুলবেন না




 


অভিভাবকরা প্রায়ই সন্তানকে অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখা, কিছু জিজ্ঞেস করা, উল্টো উত্তর দেওয়া, জোরে চিৎকার করা, বদমেজাজি দেখানো, যেকোনো ভুল করে থাকেন।  তারা মনে করেন, আঘাত করলে শিশুর স্বভাব ও আচরণে পরিবর্তন আসবে।  কিন্তু কিছু পরিস্থিতিতে এই ধরনের ঘটনা বিপরীত হয়।  যে খারাপ অভ্যাসটি বাবা-মাকে হত্যা করে তা সন্তানের মন ও হৃদয়ে গভীর প্রভাব ফেলে।

No comments: